25 C
Dhaka
সোমবার, মে ১২, ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১২ ফিলিস্তিনি

গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, সোমবার (২৪ মার্চ) ভোররাতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় আরও ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন নারীও রয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নিহতদের মধ্যে বেশ কিছু নারী ও শিশু রয়েছে। হামলার লক্ষ্য ছিল গাজার বিভিন্ন এলাকা, যেখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং হামাসের সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজায় খান ইউনিসে তাঁবুতে বোমা হামলায় ছয়জন,

দক্ষিণাঞ্চলীয় মাইন এলাকায় একটি বাড়িতে হামলায় চারজন এবং মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় দুজন নারী নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একইসঙ্গে আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৭৪ জনে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হয় এবং তা বর্তমানে আরও তীব্র হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। ইসরায়েল এরপর সামরিক অভিযান শুরু করে। এর ফলস্বরূপ লাখো মানুষ নিহত এবং আহত হয়েছে, এবং শহরটি ধ্বংস হয়ে গেছে। যদিও ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল, তবে হামাসের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল আবারও গাজায় বিমান হামলা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, গাজার চিকিৎসা সূত্র জানাচ্ছে, পাঁচ দিনের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল ও বিমান হামলায় গাজার মধ্যে ৭ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি। হামলার পরিসংখ্যান প্রমাণ করছে যে, গাজার জনগণ আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছে। যুদ্ধবিরতির কোনো আশ্বাস না থাকায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় এই ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক চাপের পরেও, এই সংঘাতের অবসান সম্ভব হচ্ছে না, এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে ইসরায়েলি আক্রমণে প্রভাবিত হয়েছে সমস্ত স্তরের জনগণ, যার মধ্যে হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদসহ মানবিক স্থাপনাগুলোও ধ্বংস হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।

পড়ুন: গাজার নতুন প্রধানমন্ত্রীকেও হত্যা করল ইসরায়েল

দেখুন:আর্জেন্টিনাসহ যেসব দেশে গাঁজা সেবন বৈধ |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন