অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় আরও অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৪৬ জন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এই তথ্য জানিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের আক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৮৮৬ জনে। আর এ পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৫ জন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে হাজারো ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই আগ্রাসনের ফলে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ নিজেদের ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম মানবিক বিপর্যয়।
চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে গাজায় আবারও নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হয়। এর পর থেকে গত তিন সপ্তাহে ১ হাজার ৫২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ। যুদ্ধবিরতির নামে ইসরায়েল কিছুদিন সাময়িক বিরতি দিলেও মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আবারও আকাশপথে হামলা শুরু করে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। তবে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মতানৈক্যের জেরে এই চুক্তি কার্যত ব্যর্থ হয়ে যায়। নতুন করে হামলার ফলে ফের ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে গাজার বাসিন্দাদের জন্য।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন। উদ্ধারকারীরা অনেক এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন না, যার ফলে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসরায়েলের আগ্রাসনকে “মানবতাবিরোধী অপরাধ” হিসেবে বিবেচনা করছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করে।
পড়ুন: গাজার শেজাইয়া পাড়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৩৮
দেখুন: ই/স/রা/য়ে/লে/র ৭ লাখ সৈন্য কেন ভ/য় পায় হা/মা/সে/র ৪০ হাজার সৈন্যকে? |
ইম/