ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠিতে ইসরাইলি বিমানবাহিনীর প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা ও সেনাকে বরখাস্ত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ইসরাইলি সেনাপ্রধান জেনারেল আইয়াল জামির এই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “যুদ্ধকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর মনোবল দুর্বল করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড ক্ষমার অযোগ্য।” সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, এই ধরণের চিঠি সেনাবাহিনীর ঐক্য বিনষ্ট করে এবং শত্রুদের শক্তিশালী করে তোলে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী প্রায় ৯৭০ সেনাসদস্য উল্লেখ করেন, গাজায় বিমান হামলা সেখানে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের জীবনের জন্য হুমকি তৈরি করছে।
তারা বলেন, “ইতিহাস প্রমাণ করেছে যে কেবল একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিই জিম্মিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে পারে।” চিঠিতে আরও বলা হয়, “বর্তমানে গাজায় যুদ্ধ নিরাপত্তার প্রয়োজনে নয়, বরং রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে।”
চিঠিতে সই করা সদস্যদের মধ্যে রয়েছে বৈমানিক, সিনিয়র কর্মকর্তা, রিজার্ভ সেনা এবং নিয়মিত কর্মী। ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎজ জানিয়েছে, চিঠির স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে কেউই সরাসরি কাজে অনীহা প্রকাশ করেননি, বরং যুদ্ধের পরিবর্তে বন্দিদের মুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ড্যান হালুৎস, সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) নিমরড শেফার এবং সাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান কর্নেল (অব.) নেরি ইয়ারকোনি। তারা ইসরাইলি নাগরিকদের প্রতি যুদ্ধ বন্ধ এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চাপ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ এখনও সক্রিয় রিজার্ভ ডিউটিতে রয়েছেন। বাকিরা সাবেক বা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য। সেনাবাহিনী এই উদ্যোগকে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং সামরিক আদেশ অমান্য হিসেবে দেখছে।
পড়ুন: গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান সৌদির
দেখুন: রকেট ছুড়ে ই/স/রা/য়ে/ল/কে জবাব দিচ্ছে হা/মা/স, হাই অ্যালার্টে ই/রা/নের সেনাবাহিনী |
ইম/