১৬/০৫/২০২৫, ২৩:০৭ অপরাহ্ণ
27.2 C
Dhaka
১৬/০৫/২০২৫, ২৩:০৭ অপরাহ্ণ

গাজায় এক মাসে ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নতুন করে আরও প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৮ মার্চ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে ইসরায়েল আবারও গাজায় হামলা শুরু করে। এরপর থেকে অব্যাহত হামলায় এই বিপুলসংখ্যক গাজাবাসী ঘরছাড়া হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতিসংঘের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। চলতি সময়ে এটাই ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘ মানবিক অবরোধ। গত ছয় সপ্তাহে একটিও সহায়তাসামগ্রী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ বলেছেন, তার দেশ এখন “সুষ্পষ্ট নীতি” অনুসরণ করছে। সেই নীতি অনুযায়ী, হামাসকে চাপে রাখতেই গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে ইতোমধ্যে মানবিক বিপর্যয়ে নিপতিত গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাতে আল জাজিরা জানায়, বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিদিনই গাজায় নতুন নতুন স্থানে হামলা চালানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুরাই এসব হামলার প্রধান শিকার।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশু মিলিয়ে ৫১ হাজার ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১ লাখ ১৬ হাজার।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন এবং ২৫১ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে যায় হামাস। এরপরই ইসরায়েল গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনও চলমান।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলো বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে, অবিলম্বে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ নিশ্চিত করার জন্য। তবে ইসরায়েলের অবস্থানে এখন পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। এতে করে গাজায় খাদ্য, পানি, ওষুধসহ মৌলিক চাহিদার চরম সংকট তৈরি হয়েছে।

পড়ুন: গাজায় সেনা রাখার ঘোষণা দিলেন ইসরায়েল প্রতিরক্ষামন্ত্রী

দেখুন: গা/জা/র শি/শু/দে/র চিৎকারে থামেনি ঘা/ত/কে/র বো/মা 

ইম

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন