গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় একদিনে আরও অন্তত ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। শনিবার উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় চালানো এই হামলার ফলে অবরুদ্ধ গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে।
আল জাজিরা ও বার্তাসংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলের নতুন করে শুরু করা বিমান হামলায় শুধু এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৩৯৬ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ৬ হাজার ৩২৫ জন। শনিবারের হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত তিনজন শিশু রয়েছে বলেও জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫২ হাজার ৪৯৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৬ জন। মন্ত্রণালয় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন এবং সড়কে পড়ে আছেন— যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি উদ্ধারকর্মীদের পক্ষে।
গাজার সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। তারা দাবি করছে, মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। তাদের মতে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজার হাজার নিখোঁজ মানুষকেও মৃত হিসাবে গণনা করা হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি ও ওষুধ বহনকারী শত শত ত্রাণবাহী ট্রাক গাজার সীমান্তে আটকে আছে। এই অবরোধের ফলে অনাহারে অন্তত ৫৭ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।
ইসরায়েলের চলমান হামলা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির সরাসরি লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে। জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন এবং বিভিন্ন রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবেশের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।
পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৪৩
দেখুন: ই/স/রা/য়ে/লে/র ৭ লাখ সৈন্য কেন ভ/য় পায় হা/মা/সে/র ৪০ হাজার সৈন্যকে?
ইম/