ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একদিনে অন্তত ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধের ফলে গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫২ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ। বুধবার (৭ মে) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা শহরের আল-তুফাহ এলাকায় একটি স্কুলে আশ্রয় নেয়া মানুষের ওপর গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১৬ জন নিহত হন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেকে আটকা পড়ে আছেন। এর আগের দিনই মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়েছিলেন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইসরায়েল অন্তত ২৩৪টি আশ্রয় ও বাস্তুচ্যুতি কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গাজা শহরের আল-ওয়াহদা স্ট্রিটের একটি জনাকীর্ণ বাজারে আরেকটি হামলায় ২২ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশু ও একজন সাংবাদিকও রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাজারটিতে অনেক দোকানপাট থাকায় হামলার সময় ভিড় ছিল বেশি।
দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরে একটি বাড়িতে বিমান হামলায় এক শিশুসহ নিহত হন আটজন। একই শহরের বানি সুহাইলা এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন এক দম্পতি। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহের মুনাসিরা শরণার্থী শিবিরেও এক শিশুসহ তিনজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এছাড়া, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পূর্ব তেল আল-জাতার এলাকায় একটি বাড়িতে হামলায় নিহত হন আরও তিনজন। নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত
দেখুন: আর্জেন্টিনাসহ যেসব দেশে গাঁজা সেবন বৈধ
ইম/