ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অব্যাহত বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় আরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ৮৭ জনের বেশি। ফিলিস্তিনের গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন এবং টানা হামলার কারণে উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। এর ফলে মানবিক বিপর্যয় আরও চরম আকার ধারণ করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় টানা সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওইদিন হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রায় ১,২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় আইডিএফ-এর প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযান।
শুক্রবারের হামলার পর থেকে গত দেড় বছরে গাজায় মোট নিহত হয়েছেন ৫২ হাজার ৭৮৭ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৪৯ জন ফিলিস্তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে প্রায় ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। শুধু গত দুই মাসেই দ্বিতীয় দফার অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৬৭৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৩০৮ জন।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু মার্চের ১৮ তারিখ থেকে আবারও গাজায় সামরিক অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানে বন্দি মুক্তি এবং হামাসকে সম্পূর্ণ অকার্যকর করার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও তা উপেক্ষা করে চলেছে তেল আবিব। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে।
পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত
দেখুন: আর্জেন্টিনাসহ যেসব দেশে গাঁজা সেবন বৈধ
ইম/