১৩/০৬/২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ণ
35 C
Dhaka
১৩/০৬/২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ণ

গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় নিহত অন্তত ৮১

গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের চলমান সামরিক আগ্রাসনে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮১ ফিলিস্তিনি। ১৪ মে, মঙ্গলবার, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র হামলায় সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে উত্তর গাজায়। মধ্যরাতের পর থেকে উত্তর গাজার বিভিন্ন এলাকায় চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫১ জন। অন্যদিকে, দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় ও নাসের হাসপাতালে চালানো বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৩০ জন।

আল জাজিরার তথ্যমতে, উত্তর গাজায় হামলাগুলো মূলত দক্ষিণে হাসপাতালের ওপর আক্রমণের কয়েক ঘণ্টা পর শুরু হয়। বোমা হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন, যিনি চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছিলেন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জন ফিলিস্তিনি। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৭০০।

গত ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে আবারও শুরু হয় বিমান হামলা। নতুন দফায় ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৮০ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৭ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই হামলার ফলে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দা সত্ত্বেও ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হয়নি।

এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

ইসরায়েলের এই অব্যাহত আগ্রাসন বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বিচারাধীন গণহত্যার মামলার আওতায়ও রয়েছে।

পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ শিশুসহ ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত

দেখুন: ই/স/রা/য়ে/লে/র ৭ লাখ সৈন্য কেন ভ/য় পায় হা/মা/সে/র ৪০ হাজার

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন