২১/০৫/২০২৫, ১৮:৩২ অপরাহ্ণ
25 C
Dhaka
২১/০৫/২০২৫, ১৮:৩২ অপরাহ্ণ

গ্রিনল্যান্ড সফরে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল,ডেনমার্কের উদ্বেগ

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল এই সপ্তাহে গ্রিনল্যান্ড সফরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। সফরের প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ডের সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করা এবং ঐতিহ্যবাহী কুকুরের স্লেজ দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া। সফরের নেতৃত্ব দেবেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের স্ত্রী উষা ভ্যান্স, এবং সাথে থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইট। তারা পিটুফফিক স্পেস বেস পরিদর্শন করবেন, যেখানে মার্কিন সামরিক বাহিনী তাদের ব্রিফিং দিবে।

হোয়াইট হাউস দাবি করেছে যে, এই সফর শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক সফর এবং গ্রিনল্যান্ডের জনগণ, সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে জানার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। তবে, স্থানীয় নেতারা সফরটিকে “উস্কানিমূলক” ও “অত্যন্ত আগ্রাসী” বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাদের মতে, এই সফর যুক্তরাষ্ট্রের দখলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু ভাবতাম, কিন্তু সেই সময় শেষ।” এছাড়া, ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতা জেনস ফ্রেডেরিক নিলসেনও এ সফরকে গ্রিনল্যান্ডের জনগণের প্রতি অসম্মান বলে অভিহিত করেছেন।

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার দায়িত্বে আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অধিভুক্ত করার বিষয়ে একটি বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ট্রাম্পের দখলকামি আগ্রহের মধ্যে, র কৌশলগত অবস্থান এবং খনিজসম্পদ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে এটি মার্কিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কীকরণ ব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য।

তবে, ডেনমার্ক ওসরকারগুলো এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন সফরের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চাই, তবে সার্বভৌমত্বের মূলনীতি মেনে।” তিনি আরও বলেন, যে কোনো ধরনের আলোচনা সরকারের সাথে করা হবে, এবং এই বিষয়ে ডেনিশ সরকার ও ভবিষ্যৎ গ্রিনল্যান্ডিক সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

গ্রিনল্যান্ডের জনগণও ট্রাম্পের দখল পরিকল্পনার বিপক্ষে।

গত জানুয়ারির একটি জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৮৫% গ্রিনল্যান্ডবাসী যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চান না এবং ৫০% মনে করেন, ট্রাম্পের এই আগ্রহ তাদের জন্য একটি হুমকি। এমন পরিস্থিতিতে, নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের এই সফরকে শুধুমাত্র দখল পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই দেখতে শুরু করেছেন।

এছাড়া, মিশরের প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে, হামাস প্রতি সপ্তাহে পাঁচজন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি দেবে এবং ইসরাইল প্রথম সপ্তাহ শেষে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন করবে। বর্তমানে হামাসের হাতে ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, মিশরের প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্র ও হামাস সম্মত হলেও, ইসরায়েল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দেয়নি।

পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সীমানাভুক্ত করতে চায় :ট্রাম্প

দেখুন: চূড়ান্ত হলো মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, কথা হবে বাংলাদেশ নিয়েও | 

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন