২১/০৫/২০২৫, ১৬:১৬ অপরাহ্ণ
34 C
Dhaka
২১/০৫/২০২৫, ১৬:১৬ অপরাহ্ণ

এক নারীর ঘর ভেঙে দেয়ার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় এক অসহায় নারীর ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রুহুল আমিন নামের এক বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে ওই নারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। দুপক্ষকে তাদের কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেছি। এখনো পর্যন্ত তারা কেউ আসেননি।

এরআগে গত ৫ এপ্রিল উপজেলার তিয়শ্রী তিয়শ্রী ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামে থাকা আম্বিয়া আক্তার নামে ওই নারীর ঘর ভেঙে দেন ওই বিএনপি নেতা। ভাঙার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী গোলাপ মিয়া ওই নেতার বিরুদ্ধে মদন থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত রুহুল, আমিন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি। তিনি শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ভুক্তভোগীর পরিবারও একই গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী আম্বিয়া আক্তার ও তার স্বামী রাস্তায় মাটি কেটে সংসার চালান। আয়ের সামান্য সঞ্চয় দিয় ২০০৭ সালে উপজেলার শ্রীধরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ১১ শতাংশ জমি ক্রয় করে বসত বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন। গত ৫ এপ্রিল বিকালে হঠাৎ বিএনপির সভাপতি জায়গাটি তার নিজের দাবি করে লোকজন নিয়ে বসত বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় অসহায় পরিবারের বসত ঘর ভেঙে দেন এবং তাদের মারধর করেন।

ঘর ভাঙার একটি ভিডিও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়,

বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন নিজেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরটি ভাঙতে থাকে। তার সাথে সহযোগিতা করেন তারই আপন ভাই শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান। এসময় ভুক্তভোগী নারীকে ঠেলা ধাক্কা দিতেও দেখা যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী আম্বিয়া আক্তার জানান, আমি অসহায় গরীব মানুষ। অনেক কষ্ট করে জায়গাটা কিনে করেছিলাম। কিন্তু রুহুল আমিন জায়গাটা তার দখলে নেয়ার জন্য বসত দিয়েছে। তিনি এর বিচার চান।

ভুক্তভোগী নারীর ভাই বারেক মিয়া জানান, ‘আমার বোন রাস্তায় মাটি কেটে ও শ্রমিকের কাজ করে জায়গাটি কিনে করেছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিএনপির সভাপতি আমার বোনের ঘরটি ভেঙে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।

এ ব্যাপারে তিয়শ্রী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, ভিডিওতে যেটা দেখা গেছে সেটা ঘর নয়। ওইগুলো আসলে টিনের বেড়া ছিল। আমার রেকর্ডের জায়গায় ওই মহিলা বেড়া দিয়ে দখল করেছিল। তাই বেড়া সরিয়ে ফেলেছি। আমি যেহেতু ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাই আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত জানান, এ বিষয়ে এখনো অভিযোগ হাতে পাইনি। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

পড়ুন: রাঙামাটি শহরে খুন হওয়া নারীর পরিচয় শনাক্ত, ঘাতক গ্রেপ্তার

দেখুন: কোন বয়সী পুরুষের প্রতি দুর্বল থাকে নারী?

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

1 COMMENT

  1. ঘটনাটি সম্পূর্ণ জানার পর যা জানতে পারছি তা হল ভুক্তাভোগী মহিলা জায়গাটি যাদের কাছ থেকে কিনেছে আদতে তাদের এখানে কোনো জায়গা কখন ছিল না। ভোক্তাভোগী মহিলা ও তার স্বামীর কাছে কে বা কাহারা বি.এন.পি সভাপতি রুহুল আমীনদের যায়গা তাদের যায়গা বলে বিক্রি করে দেয়। ভোক্তাভোগী মহিলা ও তার স্বামী কর্মের কারনে ঢাকা অবস্থান করতেন। ইদানীং তারা সেই ভুল মালিকের কাছ থেকে ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল করে গৃহ নির্মাণ করতে গেলে বি.এন.পি সভাপতি রুহুল আমীন ওনাদের বাধা দেয়। বিএনপি সভাপতি রুহুল আমীন জানান এটা আমার বাবার ক্রয়কৃত এবং আমার দাদীর সম্পত্তি। এখানে মোট ১২ শতাংশ জমি আছে। এর মধ্যে অর্ধেকের উপরের জমি প্রাইমারি স্কুলকে দান করা হয়েছে। ওই মহিলা ভুল মালিকের কাছ থেকে সম্পত্তি ক্রয় করে সরকারি স্কুলের যায়গা ও আমাদের যায়গায় এখন ঘর বানাতে চায়। সমস্যা সমাধানে আপনারা কাগজ দেখেন। একই সাথে তিনি উল্লেক করেন এই জমি মদন থানাধীন বালালী মৌজার ১০ নম্বর দাগ। যেখানে ১২ শতাংশ জায়গা রয়েছে। আপনার যাচাই করে দেখতে পারেন। ভুল দলিল ও জালিয়াতির মাধ্যমে ক্রয়করে কখন জমি দখল করা যায় না। এটা একটা কুচক্রী মহলের কারসাজি যারা হতদরিদ্র মানুয়ের টাকা মেরে অন্য জনের যায়গা বিক্রি করে সমাজে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্ঠি করে।

    তাই আমি মনে করি এই জামেলার জন্য সব কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হোক। প্রকৃত মালিক চিহ্নিত করে যায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হউক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন