আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঘুষ আদান প্রদানের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই বিপুল অংক লেনদেন হয় কেবল সেবা খাতে। আর ২০২৩ সালে এক বছরে এর পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। আর পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষে বিচার বিভাগ।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় চূড়ান্ত গন্তব্য বিচার প্রশাসন। দেশের প্রচলিত আইনের পরিপালন করে, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব তাদের। তবে উদ্বেগজনক চিত্র হলো, বিচার অঙ্গনে সেবা পেতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ।
টিআইবির জরিপ বলছে, টাকার অংকে সর্বোচ্চ দূর্নীতি হচ্ছে এখাতে। যার পরিমাণ, পরিবার প্রতি গড়ে ৩০ হাজার টাকা। সংস্থাটি বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন করে সেবা খাতে দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
জরিপে উঠে আসে ২০১৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দেশে মোট ঘুষের পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর ২০২৩ সালে প্রায় ৭১ শতাংশ মানুষ দুর্নীতির শিকার হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শতকরা হিসেবে, পাসপোর্ট করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষকে এই অবৈধ পরিমাণ ফি দিতে হয়। এরপরই রয়েছে, বিআরটিএ ও আইনশৃংখলা বাহিনী। আর পরিবার প্রতি গড় এখানে পরিমাণ সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে।

২০২৩ সালে কি পরিমাণ অবৈধ লেনদেন হয়েছে তারও পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে জরিপে। এর পরিমাণ ১০ হাজার ৯শ কোটি টাকা। ভূমি সেবায় এক্ষেত্রে গুনতে হয় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল, এই সময়টা জরিপ পরিচালনা করে টিআইবি। শিক্ষা, ব্যাংকসহ এতে ১৮ সেবাখাতের দুর্নীতির চিত্র তুলে এনেছে সংস্থাটি। এতে অংশ নেয়া ৭৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে, ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায়নি।
