১৩/০৫/২০২৫, ৪:০১ পূর্বাহ্ণ
28.7 C
Dhaka
১৩/০৫/২০২৫, ৪:০১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে দিনভর শিক্ষার্থী-ছাত্রদল ও এনসিপির কর্মীদের মধ্যে মারামারি

চট্টগ্রাম নগরের উত্তর কাট্টলীর আলহাজ মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দিনভর কয়েক দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় অন্তত ৪ জন। তারা হলেন- ছাত্রঅধিকার পরিষদ নেতা মো. মারুফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মীর ও কর্মী মো. সজীব এবং ছাত্রদল কর্মী রায়াদ হাসান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক নারী শিক্ষককে কলেজে আসতে নিষেধ করা এবং কলেজ কমিটিতে বিএনপি নেতার চাচাকে ঢোকানোর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত থাকলেও উত্তেজনা থামেনি, বরং কলেজের বৈঠক কক্ষে গড়ায় হট্টগোল ও হাতাহাতি পর্যন্ত।

এদিন সন্ধ্যার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আকবরশাহ থানা ঘেরাও করেন। এরপর ছাত্রদল ও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীও থানার সামনে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন এক নারী শিক্ষককে ক্লাসে না আসার মৌখিক নির্দেশ দেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ শুরু করে।

অভিযোগ উঠেছে, বিএনপি নেতা মনজুরুল আলম মঞ্জু তার চাচা মাঈনু চৌধুরীকে প্রভাব খাটিয়ে কলেজ পরিচালনা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ শুরু করলে, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কলেজে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়।

আকবরশাহ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, কলেজ কমিটির এক সদস্যকে নিয়ে এক শিক্ষকের কটূক্তির জেরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছেলেরা ছাত্রদলের এক ছেলেকে পিটিয়েছে। পরে তারা আবার একা পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজনকে মারধর করেছে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।

পড়ুন : চট্টগ্রামে পেট্রোল পাম্প থেকে তেল না কেনায় কারখানায় হামলার অভিযোগ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন