আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকান্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী এক আইনজীবী নাগরিক টিভিকে জানান এটি ছিলো র্টাগেট কিলিং। এদিকে গতকালের মতো আজও আদালতগুলোতে কোনো মামলা পরিচালনা করছেন না আইনজীবীরা।
ভিডিও দেখা যাচ্ছে কোপানোর পর যেন মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য লাঠির আঘাতে নির্মমভাবে আঘাত করা হচ্ছে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করলে তার অনুসারীরা আদালতে অরাজকতা চালায়। হত্যা করে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে।
সেদিনের নির্মম হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে আলিফের সহকর্মী অ্যাডভোকেট ইরফানুল হক জানান, আদালতের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর গর্ভবতী স্ত্রী খবর নিতে দ্রুত বাসায় যাওয়ার জন্য বের হন আলিফ। সংর্ঘষ শুরু হলে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীরা বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রঙ্গম কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে তাকে টেনে হেচড়ে নিয়ে প্রথমে ত্রিশুল দিয়ে আঘাত করে।
এদিকে ২য় দিনের মত আজও চট্টগ্রাম আদালতে কর্মবিরতি পালন করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। সকাল থেকে চট্টগ্রাম আদালতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
আইনজীবীরা আলিফ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পাশাপাশি ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনার এখন ঘটনায় পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১১৫০ জন থেকে ১৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
টিএ/