২১/০৫/২০২৫, ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ
25 C
Dhaka
২১/০৫/২০২৫, ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে আবারও আশার আলো দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বিজনেস সেক্টরের

প্রতিষ্ঠার ১৩৭ বছর পর বে টার্মিনালের পাশাপাশি মাতারবাড়িকে সামনে রেখে দক্ষিণ এশিয়ার বিজনেস হাব হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। একইসঙ্গে সিঙ্গাপুর-কলম্বোর মতো উন্নত বন্দরকে পাশ কাটিয়ে ৩২ হাজার কোটি টাকার বে টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি হয়ে উঠতে যাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলের একমাত্র ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট। সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলোর এই বন্দর ব্যবহারের।

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার বে টার্মিনাল অলস পড়ে আছে অন্তত ১০ বছর। ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও নানামুখী জটিলতায় এখনো বন্দর হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি।


ভূ-রাজনৈতিক বিরোধ এড়ানোর নামে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ পেছানো হয়েছে বেশ কয়েকবার। অথচ তিন বছর আগেই এখানে ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সাড়ে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন চ্যানেলে তৈরি করা হয়েছে।

স্বাধীনতার পর মাত্র ৬টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা চট্টগ্রাম বন্দর এখন বছরেই ৩২ লাখ কনটেইনার এবং ১২ কোটি মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডলিং করছে। কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকায় পণ্য পাঠাতে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে ব্যবহার করতে হচ্ছে সিঙ্গাপুর কিংবা শ্রীলংকার কলম্বো বন্দরকে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, মাতারবাড়ি বন্দর হয়ে গেলে সেখানে বড় বড় জাহাজ আসতে পারবে। আর বে টার্মিনালেও ৪-৫ হাজার কনটেইনার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ আসতে পারবে। তখন ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরের ওপর নির্ভর করতে হবে না।

এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার ১৩৭ বছরের স্থবিরতা কাটছে মাত্র ২ দিনে। বিশেষ করে ১৮ হাজার কোটি টাকার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য চুক্তি হয়েছে জাপানের সঙ্গে। একইসঙ্গে ১৪ হাজার কোটি টাকার বে টার্মিনালের জন্য খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে চুক্তি করছে বিশ্বব্যাংক।


চট্টগ্রাম বন্দর ২০০৭ সালে অত্যাধুনিক গ্যান্ট্রি ক্রেন যুগে প্রবেশ করে। বর্তমানে সিসিটি এবং এনসিটিতে ১৮টি গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হলেও জেসিবি চলছে সেই পুরানো সময়ের মতো। এ অবস্থায় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হবে।

পড়ুন : বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩.৩ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক


বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন