সারাদেশে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। কারণ কর্মবিরতিতে রয়েছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে স্টেশনে বসে আছেন অনেকে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর কমলাপুরসহ সারাদেশের রেলস্টেশনগুলোতে দেখা মিলেছে যাত্রীদের ভোগান্তির চিত্র।

যাত্রীদের মধ্যে অনেককে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেছে। কিছু স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। রাজশাহী রেলস্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোরের আলো ফোটার আগেই স্টেশনে অপেক্ষা করছেন অনেক যাত্রী। স্টেশনে আসা কেউই জানতেন না ট্রেন চলাচল বন্ধ। তাই কাউন্টারে এসেই তাদের পড়তে হয় বিপাকে।

এ ব্যাপারে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে সরকারি মাস্টার পারভীনা খাতুন জানান, চলতি ট্রেনের কর্মীদের জরুরি স্টাফ বিবেচনায় মূল বেতনের বাইরে অতিরিক্ত ভাতা ও পেনশনের সঙ্গে অতিরিক্ত ৭৫ শতাংশ বেশি টাকা ব্রিটিশ আমল থেকে পেয়ে আসছেন রানিং স্টাফরা। এর ফলে বেনাপোল থেকে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি পেলে বেনাপোল থেকে সকল ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
এদিকে বাতিল হওয়া ট্রেনের টিকিটের টাকা যাত্রীরা ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছে রেলওয়ে। রেলের বিকল্প হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ রেল রুটসমূহে যাত্রী পরিবহনের জন্য বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন হতে চট্রগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লা, বগুড়া ও ময়মনসিংহগামী যাত্রীগণ তাদের ক্রয়কৃত রেল টিকেটে বিআরটিসি বাস সার্ভিসের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারবেন এবং এসকল স্থান হতে ঢাকাতে এই সার্ভিসের মাধ্যমে আসতে পারবেন।

উল্লেখ্য, বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এ কর্মসূচি পালন করছেন রেলের রানিং স্টাফরা।
এনএ/