চাঁদপুরের হাইমচরের বাংলাবাজারে একটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় একটি পক্ষ বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দেয়ার কথা নিজেরাই স্বীকার করেছে।
১৮ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে নাগরিক টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তারা তাদের ভুল বক্তব্যের কথা স্বীকার করেন। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত বলেও তারা মন্তব্য করেছেন।
বাংলাবাজারের ব্যবসায়ী জাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, জমি সংক্রান্ত কারনে আমার দোকান ভাঙ্গচুর করে কতিপয় লোক। সে সময় লোকমুখে শুনে তাদেরকে না চিনেই বিএনপি এবং মানিক ভাইয়ের লোক ভেবে মিডিয়াতে আমি বক্তব্য দেই। পরবর্তীতে তা নাগরিক টিভির মাল্টিমিডিয়াসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে মানিক ভাই( চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি) এই ঘটনা কখনই অবগত ছিলেন না এবং এমনকি বিএনপির কোন নেতাকর্মীও এই ঘটনায় সম্পৃক্ত নয়। আমরা ভুল বক্তব্য গণমাধ্যমে দেয়ায় অনুতপ্ত এবং দুঃখ প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন, মানিক ভাই জেলা বিএনপির সভাপতি এবং তিনি অত্যান্ত ভালো মানুষ। আমরা ভুলভাবে বিষয়টা গণমাধ্যমে উপস্থাপন করলেও তিনি পুরো ঘটনা আমাদের থেকে জেনে উল্টো এমন কান্ডে আমাদের প্রতিই সমবেদনা জানিয়েছেন। উনার উদারতা দেখে আমরা মুগ্ধ। দোয়া করি এই মানুষটি যাতে ভালো থাকে এবং মানবিক কার্যক্রম সর্বদা চালিয়ে যেতে পারেন।
শাহলম পাটওয়ারী নামে বাজারের আরেক শ্রমিক বলেন, নববর্ষের দিন বাজারে দোকান ভাঙ্গচুর হলেও কোন মালামাল লুট হয়নি। আমি তখন না বুজেই নাগরিক টিভি কে ভুল বক্তব্য দিয়েছিলাম। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, এটি জমি নিয়ে তাদের দু’পক্ষের আন্ত: কোন্দল। তবে যারা দোকান ভাঙ্গচুর করেছে তারা আমাদের সযত্নে দোকান ভাঙ্গার পূর্বেই সব মালামাল সড়িয়ে নিতে সহায়তা করেছে। তাই কোন মালই লুট হয়নি।
খোরশেদ নামে আরেক শ্রমিক বলেন, জমির বিরোধকে ঘিরে আমরা বক্তব্য দিতে গিয়ে ভুলভালভাবে বিএনপি নেতাকর্মী এমন কান্ড করেছে বলে ফেললেও পরে সত্যটা জেনেছি। যারা ঘটনা করেছে তাদের কেউই বিএনপির দলীয় নেতাকর্মী নয়। একটি বৃহৎ দলের নাম ও তাদের নেতাকর্মীদের আমি বক্তব্য দিতে গিয়ে জড়িয়ে ফেলায় আমি নিজেও বিব্রত। বরং বিএনপির নেতাকর্মীরা পরে ঘটনাটি জেনে বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের সহায়তা করেছে।
পড়ুন : নতুন বছরের প্রথম দিনেই চাঁদপুরের বাংলা বাজারে দোকানপাটে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট