চাঁদপুরের গাছতলা ব্রীজের নীচে ডাকাতিয়া নদীতে জোয়ারের পানিতে ভেসে উঠলো সৌম্যজিৎ সরকার আপন(১৬) এর মরদেহ। তার ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে নৌ পুলিশ।
২৮ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়া।
তিনি জানান, বন্ধুদের সাথে নদীতে নেমে গতকাল দুপুরে নিখোঁজ হওয়া সৌম্যজিৎ এর মরদেহ বিকালে নদীতে ভেসে উঠে। পরে ট্রলার নিয়ে গিয়ে সে মরদেহ উদ্ধার করে তা ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কোনরূপ অভিযোগ না পেলে থানায় এই সংক্রান্ত একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মোঃ ইকবাল জানান, নদীর ঝোপ থেকে আমরা মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে ছেলেটির পরিবারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। কিন্তু একমাত্র পুত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকেকাতর পরিবারটি কোন কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। তবুও আমরা আইনী কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে রোববার বন্ধুদের সাথে মিলে ডাকাতিয়া নদীতে গোসলে নেমে সৌম্যজিৎ সরকার আপন(১৬) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার খবরে উদ্ধার তৎপরতায় নেমে তার কোনরূপ সন্ধান পায়নি ডুবুরি দল। সৌম্যজিৎ সরকার আপন হচ্ছেন চাঁদপুর শহরের মিশন রোডের শান্তা রানী সরকার ও মানিক রঞ্জন সরকারের ছেলে। তার বাবা হাজীগঞ্জে বেনাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক। সৌম্যজিৎ এর ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া একটি ছোট বোন রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় একমাত্র পুত্র সন্তানকে হারিয়ে সৌম্যজিৎ এর বাবা-মায়ের আহাজারিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
পড়ুন : চাঁদপুরে বন্ধুদের সাথে নদীতে নেমে নিখোঁজ ১ জন, সন্ধান পায়নি ডুবুরি দল