চাঁদপুরে বাঙ্গালীয়ানা ঐতিহ্য ফুটিয়ে তুলে দেড় হাজার মুলি বাঁশের ব্যবহার করে দূর্গা পূজা মন্ডপ সাজানোয় ভক্ত দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
১ অক্টোবর বুধবার রাতে মহানবমীর দিন দর্শনার্থীদের এমন ভীড় লক্ষ্য করা যায়। সরজমিনে দেখা যায়, পুরো পূজো মন্ডপটির ভিতরে বাঁশ দিয়ে প্রতিমা স্থাপনের পুরো সাজসজ্জা করা হয়েছে। আর বাহিরে খেড়, কুঁড়ের ঘর, মাটির তৈরি তৈজসপত্র, কাঁশবন ও বাঁশঝাড় নিপুনভাবে সাজানো হয়েছে।
চাঁদপুরের পুরানবাজার হরিসভার দুর্গা উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক শম্ভুনাথ সাহা বলেন, আমাদের ফ্লাওয়ার গ্যালাক্সি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চাঁদপুরের ছেলে জয় প্রায় এক থেকে দেড় হাজার মুলি বাঁশ দিয়ে দীর্ঘ এক মাস সময় নিয়ে এ পূজো মন্ডপটি সাজিয়েছে।
এখানে এবার পুরান বাজার হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্সের হরিসভা দুর্গোৎসবের ৯৩ তম আয়োজন এটি। মূলত পরিবেশ রক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দিতে মন্দির চত্বরে বাঁশ ব্যবহার মন্ডপটির নান্দনিকতার সাজসজ্জা ভিন্নতা এনে দিয়েছে। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রামীণ বাঙ্গালীয়ানা ঐতিহ্য।
তিনি আরও বলেন, কৃত্রিম ও ক্ষতিকর উপকরণের বদলে প্রাকৃতিক উপাদান বাঁশ দিয়ে সাজসজ্জা করে ভক্তদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানোই আমাদের উদ্দেশ্য। মন্ডপ তৈরীতে প্রকৃতির ক্ষতিকর প্লাষ্টিক সামগ্রী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সেদিক বিবেচনা করে আমাদের এমন উদ্যোগ।
দর্শনার্থীরা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগ শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায়নি বরং পরিবেশবান্ধব আয়োজনের দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। পরিবেশবান্ধব এ আয়োজন দুর্গোৎসবকে নতুন মাত্রা দিয়েছে মনে করছি।
চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় বলেছেন, কারিগররা দেবী দুর্গাসহ অন্যান্য দেবদেবীর প্রতিমায় নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় যে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছেন। তাতে এই পূজো মন্ডপি পুরো জেলার ভক্তদের নজর কাড়ার পাশাপাশি সুন্দর সামাজিক বার্তাও বহন করছে। এজন্য আমি আয়োজকসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পড়ুন :চাঁদপুরে নজর কেড়েছে শারদাঞ্জলী ফোরামের জীবন্ত মাতৃপূজা


