২৩/০৫/২০২৫, ১৫:০৩ অপরাহ্ণ
32 C
Dhaka
২৩/০৫/২০২৫, ১৫:০৩ অপরাহ্ণ

চাঁদপুরের বিপনীবাগে চুরি করা গরুর খন্ডিত মাথা দেখে নিজ গরু শনাক্ত করল মালিক

চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগে চুরি করা গরুর খন্ডিত মাথা দেখে নিজ গরু শনাক্ত করলেন এর মালিক আব্দুল মতিন মিজি।

৪ মে রোববার রাতে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়া।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর সদরের তরপুরচন্ডীর সেনের দীঘির পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল মতিন মিজি নামের এক কৃষকের রাস্তার পাশে বেঁধে রাখা একটি বড় গরু সকালে চুরি করে নিয়ে মাত্র ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেন মোহাম্মদ সোহাগ। পরে গরু খোঁজাখোজির এক পর্যায়ে দুপুরে বিপনিবাগ বাজারে কসাইখানায় গিয়ে মতিন মিজি দেখেন তার গরুটির খন্ডিত মাথা পড়ে রয়েছে। আর বাকি অংশ করা হয়েছে টুকরো টুকরো। পরে গরুর খন্ডিত মাথা দেখে হারিয়ে যাওয়া গরুটি শনাক্ত করার পর তথ্য উপাত্তে বেরিয়ে আসে চোর মোহাম্মদ সোহাগের নাম। এরপর সোহাগকে খুঁজে বের করে জনতা উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে গরুর মালিক আব্দুল মতিন মিজি বলেন, এই গরুটা হচ্ছে গাভী গরু। এর একটা বাছুরও রয়েছে। দিনে গড়ে ৮ কেজি করে দুধ দিতো গরুটি। আমার গরুটা চুরি করে কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে সোহাগ। গরুটি কসাই জবাই করলেও গরুর খন্ডিত মাথা দেখে আমি গরুটি শনাক্ত করতে সক্ষম হই। আমার এই গরুর দাম প্রায় এক লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। কিন্তু সোহাগ নামে ওই চোর গরুটি মাত্র ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। আমি এই ঘটনায় দোষী সোহাগ এবং ওই কসায়ের বিচার দাবী করছি।

পুলিশি হেফাজতে থাকা চোর মোহাম্মদ সোহাগ বলেন, বড্ড অভাবে আমি গরুটি চুরি করেছিলাম। আমি কখনও এমন চুরি করি নাই। অনেক টাকা ধার দেনা হওয়ায় শয়তানের পাল্লায় পড়ে এই ভুল কাজটি করে ফেলেছি। আমাকে ক্ষমা করলে আমি আর এই কাজ করবো না।

এদিকে বিপনীবাগের সেই কসাইয়ের নাম পরিচয় এখনও খুঁজে পেতে কাজ করছে পুলিশ।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ বাহার মিয়া বলেন, একজন গরু চোরকে ধরে মানুষ পুলিশে সোপর্দ করেছে। আমরা এই চোর চক্র সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি।

পড়ুন: চাঁদপুরের ওয়াপদা গেইটে ইয়াবা গাঁজা ও নগদ অর্থসহ নারী গ্রেফতার

দেখুন: চাঁদপুরে চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশু অ*প*হ*র*ণে*র সময় আটক |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন