চাঁদপুর পৌরসভার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূঁইয়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন হাওলাদার ও নগর পরিকল্পনাবিদ সাজ্জাদ ইসলামের আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য চেয়ে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে দুদক।
২৩ এপ্রিল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন দুদক চাঁদপুর সমন্বিত কার্যালয় থেকে সদ্য ঢাকায় বদলি হয়ে যাওয়া (দুদক জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক) মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, আমি এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলাম। ওই চিঠি পাওয়ার পর দুই কর্মকর্তা (আবুল কালাম ভূঁইয়া ও মফিজ উদ্দিন হাওলাদার) স্থানীয় দুদক কার্যালয়ে এসে তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দিয়েছেন। অপরজন নগর পরিকল্পনাবিদ সাজ্জাদ হোসেনের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূঁইয়ার শহরের নাজিরপাড়া এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজউদ্দিন হাওলাদারের একই শহরের পালপাড়া এলাকায় বহুতল আলিশান বাড়ি রয়েছে। যা গত কয়েক বছর আগে এই দুজন ঠিক একই আদলে বাড়িগুলো আলাদাভাবে নির্মাণ করেছেন।
খবর নিয়ে জানা যায়, আবুল কালাম ভূঁইয়া প্রায় দেড় যুগ ধরে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ও পরিবারের সম্পত্তির হিসাব বিবরণী দুদক কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মফিজউদ্দিন হাওলাদারও প্রায় দুই যুগ ধরে একই পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বলেন, শহরের পালপাড়ায় একমাত্র বহুতল বাড়ি ছাড়া আমার অন্য আর কিছু নেই। জাহাজসহ অন্য সম্পদ নিয়ে দুদকের তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসবের মালিক আমি নই।
এ ঘটনায় চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক পদে দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম জাকারিয়া বলেন, এরকম অভিযোগ শুনেছি। যাদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি একান্তই তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
পড়ুন : চাঁদপুরের মতলবে মাদ্রাসা কেন্দ্রে অফিস সহকারীর দুই বছরের কারাদণ্ড