বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ইমতিয়ার ফেরদৌস সুইট। আজ ১৫ আগস্ট। বরেণ্য এই সাংবাদিকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিকতায় গৌরবময় অবদান রাখা সুইটের জীবনের হঠাৎই ইতি ঘটে ২০১৯ সালের আজকের এই দিনে। মাত্র ৩৭ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই গুণী সাংবাদিক।
সাংবাদিকতার জীবনে নির্ভীক এই সাংবাদিক চোখে চোখ রেখে ক্ষমতাকে প্রশ্ন করেছেন। অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আর সহকর্মীদের প্রয়োজনে সোচ্চার থাকতে দেখা গেছে তাকে। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াননি কখনো। মাত্র এক দশকের সাংবাদিকতা জীবনে অর্জন করেন অনেক গুণী মানুষের ভালোবাসা।
ইমতিয়ার ফেরদৌস সুইট কাজ করেছেন জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ, দৈনিক করতোয়া ও গাজী টিভিতে। পেশাগত জীবনে দৈনিক যুগান্তর, আমার দেশ ও চ্যানেল ওয়ানের মতো জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমেও যুক্ত ছিলেন তিনি। বরেণ্য সাংবাদিক এখনও রয়েছেন অসংখ্য পাঠকের মণিকোঠায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, সাহসী সাংবাদিক ছিলেন ইমতিয়ার ফেরদৌস সুইট। তার মতো সাংবাদিক আজ সমাজে বিরল হয়ে যাচ্ছে। তার একটা গুণ ছিল মিলে-মিশে কাজ করার। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সুইটের মতো উদার মনের মানুষ আজ সমাজে বড়ই প্রয়োজন ছিল। সে নির্ভীক, স্পষ্টবাদী, সৎ সাংবাদিক ছিলেন, তার তুলনা হয় না। তার মৃত্যু সাংবাদিক সমাজের বড় ধরনের শূণ্যতা সৃষ্টি করেছে। এই শূণ্যতা পূরণ অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে।
পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ১০ হাজার পরিবার
এস/


