দেশের বিভিন্ন জেলায় আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি স্থানীয় প্রশাসন। ফলে আম পাকলেই তা বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ প্রণয়ন এবং নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদন, বিপণন, পরিবহন বাজারজাত করণের লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ।
জেলা প্রশাসক জানান, আম চাষি, উদ্যোক্তা, আড়তদার ও ইজারাদারদের মতামতের ভিত্তিতে এবছর ম্যাংগো ক্যালেন্ডার ঘোষণা করা হচ্ছে না। যখন আম প্রাকৃতিকভাবে পরিপক্ব হবে, তখনই চাষিরা তা বাজারজাত করতে পারবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।
সভায় আম উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা এবং সুষ্ঠু পরিবহন ও বাজারজাতকরণের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষি উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সহিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক, শিবগঞ্জ ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মো. আহসান হাবীব, শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীমসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, আম চাষি, উদ্যোক্তা, আড়তদার ও বাজার ইজারাদার।
সভাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম শিল্পে সমন্বিত ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একটি কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে গুরুত্ব পায়। এতে অংশগ্রহণকারীরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খোলামেলা মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন। যা গতবারের চেয়ে ৩৮ হাজার মেট্রিক টন বেশি।
এনএ/