১৯/০৭/২০২৫, ২:৩৮ পূর্বাহ্ণ
28 C
Dhaka
১৯/০৭/২০২৫, ২:৩৮ পূর্বাহ্ণ

চিকিৎসক দম্পতি ও তিন শিশু সন্তানের শেষ সেলফি এখন শুধুই স্মৃতি

ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর যে ধ্বংসস্তূপ পড়ে রয়েছে, তারই কোথাও মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে রাজস্থানের এক পরিবারের মোবাইল ফোন। সেই ফোন হয়তো আর কখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। হয়তো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিন্তু ওই ফোনে তোলা একটি সেলফি চিরদিন থেকে যাবে ২৪২ জন যাত্রীসহ বিমানে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার এক নিঃশব্দ স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে।

ছবিটি ছিল নতুন এক জীবনের পথে যাত্রা শুরুর প্রতীক। উদয়পুরের একটি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক কোমি ভ্যাশ চাকরি ছেড়ে স্বামী ডা. প্রতীক জোশির সঙ্গে লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল তাদের তিন সন্তান। ছবিতে তাদের মুখে যে আনন্দ-উল্লাস দেখা যায়, তা বলে দেয় কতটা উচ্ছ্বসিত ছিল এই পরিবার।

ভাগ্যাহত বিমানে তোলা সেলফিতে দেখা যায়—ডা. জোশি নিজে ছবি তুলেছেন, পাশে বসে আছেন তার স্ত্রী কোমি। দুজনেই হাসিমুখে। সামনের সারিতে বসে আছে তাদের যমজ দুই ছেলে এবং বড় মেয়ে। ছেলেরা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসার চেষ্টা করছে, আর মেয়েটি হাসছে প্রাণখুলে।

এই দম্পতির ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, ডা. কোমি ভ্যাশ এবং ডা. প্রতীক জোশি দুজনেই আগে উদয়পুরের প্যাসিফিক হাসপাতালে কাজ করতেন। প্রতীক কিছুদিন আগে লন্ডনে চলে যান এবং সম্প্রতি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজস্থানের বানসওয়ারা ফিরে আসেন। যমজ দুই ছেলের নাম নকুল ও প্রদ্যুৎ। তাদের বয়স পাঁচ বছর। মেয়ের নাম মিরায়া (৮)।

প্যাসিফিক হাসপাতালের এক মুখপাত্র বলেন, লন্ডনে স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য সম্প্রতি চাকরি ছেড়েছিলেন কোমি। প্রতিবেশীরা বলেছেন, প্রতীকের বাবা শহরের একজন খ্যাতনামা রেডিওলজিস্ট। আর কোমির বাবা ছিলেন রাজ্য সরকারের গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা।

পড়ুন : ভারতে বিমান বিধ্বস্ত : লন্ডনে স্বামীর কাছে যাওয়া হলো না খুশবুর

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন