বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী ঈদ আনন্দ মেলা শুরু হয়েছে।
ঈদ উৎসবের অনুষঙ্গ হিসেবে গ্রাম বাংলা ও ঢাকার ঐতিহ্য, খাবার পসরা তুলে ধরতে ঈদের দিন ও পরদিন এ মেলা আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
মেলায় বিভিন্ন পণ্যের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ২০০টির বেশি স্টল রয়েছে। দুই দিনই মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে আগেই।
মেলার প্রথম দিন তথা ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় শুরুতে বাণিজ্যমেলার পুরনো মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ শেষে সকাল ৯টার দিকে আনন্দ মিছিল শুরু হয় ডিএনসিসির উদ্যোগে।
বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে দিয়ে আগারগাঁও হয়ে খামার বাড়ি মোড় পার হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের দিকে এগিয়ে যায় মিছিলটি। তারপর সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে গিয়ে সাড়ে নয়টায় শেষ হয় আনন্দ মিছিল।
এরপর চলতে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সেখানে আর এদিকে সকাল দশটায় মেলার জন্য চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় জমতে দেখা যায়। যদিও দুপুর পর্যন্ত বেশিরভাগ স্টলই চালু হয়ে যায়। ঈদের নামাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতার আনাগোনা কম ছিল। তবে ফুচকা, মুড়ি মাখাসহ খাবারের দোকানগুলোতে ছিল ক্রেতা সমাগম।
মেলা ছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ঢাকার আগারগাঁওয়ে ঈদের নামাজ ও ঈদ আনন্দ মিছিল হয়েছে।
ব্যান্ড পার্টির বাজনা, ঘোড়ার গাড়ি এবং মুঘল আমলের ইতিহাস তুলে ধরা নানা ধরনের ছবি নিয়ে এ মিছিলে ঈদ মানেই সম্প্রীতি, ঈদ মানেই ঐক্য; ঈদ এল সুখের বার্তা নিয়ে’ সংবলিত নানা ধরনের সামাজিক ও ঐক্যের বার্তা তুলে ধরা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা ‘ঈদ মোবারক’সহ নানা ধররেন স্লোগান তোলেন।
ওই মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
মিছিল শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া।
ঘরে বসে কেবল টেলিভিশন না দেখে এখন থেকে প্রতিবছর বড় পরিসরে ঈদ উৎসব উদযাপন হবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শিশুদের আনন্দের জন্য নাগরদোলা ও খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে শিশুদের জন্যও নানা আয়োজনও রয়েছে।