প্রায় এক দশক পর ৮ জুলাই চীনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দিনের সফরে ৯ জুলাই বেইজিংয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং পরদিন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক।
১১টি দলিল চূড়ান্তের প্রস্তুতি চলছে। দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হচ্ছে দফায় দফায়।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে আসতে পারে টাকা-ইউয়ান লেনদেনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বিশেষ গুরুত্ব পাবে, আর্থিক সংকট মোকাবিলায় ঋণ পাওয়ার প্রসঙ্গও। তবে, ঋণের বিকল্প নিয়ে ভাবার তাগিদ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। তিস্তা ও মিয়ানমার ইস্যুতেও বিশদ আলোচনার সুযোগ দেখছেন তারা।
বিশ্বের সবখানেই এখন অর্থনৈতিক সংকট। তাই, মেলাতে হচ্ছে নানা সমীকরণ। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে, গুরুত্ব পাচ্ছে ঋণের প্রসঙ্গ। ভারত-বাংলাদেশের টাকা-রুপিতে লেনদেনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার টাকা-ইউয়ানেও লেনদেন চূড়ান্তের অপেক্ষা।
তবে, বিশ্লেষকরা মনে করনে, ঋণ নয়, ভাবতে হবে নতুন কৌশল। কারণ, ২০২৬ সাল থেকেই উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।
ভালো উপায় বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে টেকসই পদক্ষেপ, মনে করেন এই সাবেক রাষ্ট্রদূত।
২০১৬ সালে চীনের সঙ্গে ২৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। ১৫টি সম্পন্ন হয়েছে, ৬টি চলমান। বাকি ৬টির বদলে নতুন প্রকল্পের চিন্তা চলছে। যার মধ্যে আছে তিস্তা প্রকল্পও।
বেইজিং মূলত তাইওয়ান ইস্যুতে এক চীন নীতির প্রতি জোর সমর্থন চাইবে। ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন নীতিতে ঢাকা কীভাবে কাজ করবে, তাও নিশ্চিত হতে চায় চীন। অভিমত এই বিশ্লেষকদের।