চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ফেরার সাথে সাথেই আবারও বিশ্বের দুই পরাশক্তি, যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের সূচনা হয়েছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর চীনের পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, যা চীনের পক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়।
এমন এক পরিস্থিতিতে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং যুক্তরাষ্ট্র এবং সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে-আমেরিকা সম্পর্ক এক ‘গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে’ রয়েছে এবং এ বিষয়ে যদি দুই দেশ শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছায়, তাহলে উভয় দেশই লাভবান হবে। তবে, যুদ্ধের দিকে চলে গেলে উভয় দেশই হেরে যাবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন। প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং আরও বলেন, “সংঘর্ষের পরিবর্তে আমাদের সংলাপ এবং উইন-উইন সহযোগিতার মাধ্যমে লড়াই করা উচিত।”
এছাড়া, তিনি এও উল্লেখ করেন যে সবসময় যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলোকে স্বাগত জানায় এবং তাদের বৈধ দাবিগুলো পূরণ করতে প্রস্তুত। বিদেশি এবং দেশীয় ব্যবসায়ীদের জন্য সমানভাবে সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য উপকারী হবে।

চীন প্রধানমন্ত্রী মার্কিন সিনেটর স্টিভ ডেইন্স এবং বেইজিংয়ে অবস্থানরত মার্কিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপের সময় এসব মন্তব্য করেন।
ডেইন্স বলেন, “আমরা যখন চীনের দিকে তাকাই, তখন দেখতে পাই যে ১৯৯১ সালে চীনের অর্থনীতি ছিল প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু গত ৩৪ বছরে আমরা চীনের অগ্রগতি ও পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি।”
এদিকে, ডেইন্স অদূর ভবিষ্যতে উভয় দেশের মধ্যে উচ্চ-স্তরের সংলাপের আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অর্থনীতির উন্নতি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে আরও আলোচনা হওয়া উচিত।”
চী রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানায়, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং শীর্ষ সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাজারে প্রবেশের সুযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি অর্থনীতির জন্য আরও উন্মুক্ত ও সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির কথা বলেছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি ধাক্কার জন্য প্রস্তুত, বিশেষ করে বহিরাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়।”
এভাবে, এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের পটভূমিতে এই শীর্ষ সম্মেলন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উভয় দেশের নেতারা তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় একটি সুস্থ এবং স্থিতিশীল সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করতে আগ্রহী।
বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে শান্তি ও সহযোগিতা স্থাপনের প্রয়াসের মধ্যে, অর্থনীতি, বাণিজ্য, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আম, পেয়ারা ও কাঁঠাল আমদানি করবে
দেখুন: ভারত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের কৌশল কী?
ইম/