ঈদুল ফিতর উদযাপনে চুয়াডাঙ্গার মানুষের জন্য স্বস্তির চেয়ে অস্বস্তির কারণ হতে পারে তীব্র গরম। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঈদের সময় জেলায় তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে, যা জনজীবনে ভোগান্তি বাড়াবে।
এছাড়া কয়েকদিন ধরে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৯ মার্চ) ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার (২৮ মার্চ) ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এছাড়া সর্বশেষ ২১ মার্চ এ জেলায় বৃষ্টিপাত হয়। তারপর থেকেই প্রখর রোদ আর প্রচন্ড গরমের মধ্যে রোজা পালন করছেন এ জেলার মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। এছাড়া সব শ্রেণি-পেশার মানুষও ভোগান্তিতে আছেন। আর এবার প্রখর রোদ আর তীব্র গরমে ঈদ পালন করতে হবে চুয়াডাঙ্গাবাসীকে। তবে ঈদের পরদিন তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকলেও বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
রবিবার (৩০ মার্চ) চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলমান তাপপ্রবাহ ঈদের সময়ও অব্যাহত থাকতে পারে। বিশেষ করে দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হবে, যা ঈদের নামাজ ও ঘোরাঘুরির পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, রবিবার দুপুরে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

তিনি আরও জানান, মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন এমন থাকতে পারে। তবে ঈদের পরদিন তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, জেলায় এরমধ্যে তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, গরমের কারণে ঈদের কেনাকাটায় অনেকেই অস্বস্তি বোধ করছেন। শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণিবিতানে ক্রেতাদের ভিড় গত দুদিন তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আওলিয়ার রহমান পরামর্শ দিয়ে বলেন, এই তীব্র গরমে শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করা, সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলা এবং হালকা পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ঈদের সময় স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করলেও স্বাস্থ্য সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
পড়ুন : https://চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই, ২৭ রোজায় তীব্র গরমে কষ্টে মানুষ