১৩/০৬/২০২৫, ১৩:০৬ অপরাহ্ণ
35 C
Dhaka
১৩/০৬/২০২৫, ১৩:০৬ অপরাহ্ণ

চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এসএসসি পরীক্ষার্থীর অবস্থান

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি মাদ্রাসাপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল থেকে প্রেমিক মো. নাঈমের বাড়িতে অবস্থান নিলেও সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক নাঈম পলাতক রয়েছে। এঘটনায় রাতেই কথিত প্রেমিকের ওই শিক্ষার্থী চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে নাঈমের বাড়িতে হঠাৎ হইচই শুরু হলে তারা ছুটে আসে। পরে জানতে পারে, এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিকার দাবি অনুযায়ী, তিনি প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন। একপর্যায়ে উৎসুক জনতা ওই ছাত্রীকে ঘরের ভেতরে তুলে দেয়। পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠাতে চেষ্টা করলে ওই শিক্ষার্থী বাড়ি যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা আসে এবং তাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শেষে রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে কথিত প্রেমিকের নামে ধর্ষণ মামলা করে।


ওই শিক্ষার্থী জানায়, তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে। সে দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত তিন বছর ধরে তার সঙ্গে নাঈমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি নাঈম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে—এ খবর পেয়ে সে সোমবার গণিত পরীক্ষার পর চুয়াডাঙ্গায় আসে এবং নাঈমের বাড়ির সামনে অনশন শুরু করে।

তিনি বলেন, “আমি শুধু আমার ন্যায্য অধিকার চাই। ওর সঙ্গে আমার তিন বছরের সম্পর্ক। এখন সে অন্য মেয়েকে বিয়ে করছে, এটা মানা যায় না।”

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আমরা অভিযুক্তকে আটকে অভিযান চালাচ্ছি।

পড়ুন : চুয়াডাঙ্গায় জিকে ক্যানেলের পানি নেওয়া হচ্ছে পুকুরে, কৃষি জমির ফসলের ক্ষতি হওয়ায় চাষীদের ক্ষোভ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন