চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ। আজ (শুক্রবার, ২৭ রমজান) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। বাতাসের আর্দ্রতা মাত্র ১৮ শতাংশ থাকায় প্রচণ্ড গরম আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
রোজার শেষ পর্যায়ে এসে এমন তীব্র গরমে নাকাল সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড রোদ আর গরমে রোজাদারদের কষ্ট বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। কেউ কেউ শরীরে প্রচণ্ড দুর্বলতা অনুভব করছেন, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি ভুগছেন। ২৭ রোজায় এই তাপমাত্রা ক্লান্ত করে তুলছে রোজাদারদের।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা নাসির উদ্দীন বলেন, “রোজা রেখে এই গরম সহ্য করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দুপুরের পর বাইরে বের হওয়া যায় না। গরমে মাথা ঘুরছে, শরীরও দুর্বল লাগছে।”
নিচু আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের কষ্ট আরও বেশি। চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তা মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা নাম না বলা এক রিকশাচালক বলেন, “কাজ না করলে খাবার জুটবে না। কিন্তু এই গরমে রোজা রেখে রিকশা চালানো খুব কষ্টকর। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।”

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে তাপমাত্রার পারদ বেড়ে যাচ্ছে।
সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, “চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে।
এদিকে, গরমের কারণে শহরের রাস্তাঘাট তুলনামূলক ফাঁকা। অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। কিন্তু দিনমজুর, শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রোদ-গরম উপেক্ষা করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গার বাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, “বাজারে ক্রেতা কম আসছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ বের হচ্ছে না। আমরা তো ঘরে বসে থাকতে পারি না, বিক্রি না করলে সংসার চলবে কীভাবে?”
অন্যদিকে, বাস ও ট্রেন স্টেশনেও যাত্রীদের ভিড় কিছুটা কম দেখা গেছে।
পড়ুন: মেহেরপুরের বাতাসে যেন আগুনের হল্কা, তাপমাত্রা ৩৯.৮ ডিগ্রি
দেখুন: ৮ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে ৯ ডিগ্রি সে.
ইম/