১৩/০৬/২০২৫, ১৩:৫০ অপরাহ্ণ
35 C
Dhaka
১৩/০৬/২০২৫, ১৩:৫০ অপরাহ্ণ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে ইতিহাস গড়ল ইন্টার-বার্সা

১৯৫৫ সাল থেকে শুরু হয় ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের আসর। ২০২৫ সালে এসে পূর্ণ হয়েছে ৭০ বছর। সাত দশকের এই যাত্রায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দেখেছে বহু নাটকীয়তা। দেখেছে বহু উত্থান-পতনের রাত। তবে সান সিরোতে গতকাল রাতে ইন্টার মিলান এবং বার্সেলোনা যা করেছে, তা একেবারেই বিরল এক দৃশ্য।

অবশ্য শুধু সান-সিরো না। বার্সেলোনা এবং ইন্টার মিলান দুই লেগ মিলিয়েই উপহার দিয়েছে ধ্রুপদী ফুটবলের লড়াই। বার্সেলোনায় ৩-৩ গোলে ড্রয়ের পর মিলান শহরে দুই দলের লড়াই শেষ হলো ৪-৩ গোলে। যেখানে শেষ হাসিটা ইন্টারের। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের অ্যাগ্রিগেটে নেরাজ্জুরিরা চলে গেল ১ জুনের ফাইনালে।

দুর্দান্ত লড়াইয়ের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে নিজেদের নামটাও আলাদা করে তুলে রেখেছে বার্সা এবং ইন্টার। ৭০ বছরের এই প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালের মঞ্চে সবচেয়ে বেশি গোলের দেখা মিলেছে এবারই। দুই লেগ মিলিয়ে হয়েছে ১৩ গোল। অবশ্য এই রেকর্ডটা যৌথভাবেই ভাগ করতে হচ্ছে দুই দলকে।

এর আগে ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের ক্লাব লিভারপুল এবং ইতালিয়ান ক্লাব রোমার মধ্যেকার সেমিফাইনালেও ছিল ১৩ গোল। সেবারে ঘরের মাঠে প্রথম লেগে লিভারপুল ৫-২ গোলে হারায় রোমাকে। তবে ফিরতি লেগে তারা হেরে বসে ৪-২ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ অ্যাগ্রিগেটে ফাইনালে চলে যায় লিভারপুল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোল

১৩ – লিভারপুল (৭) বনাম রোমা (৬); ২০১৮
১৩ – ইন্টার মিলান (৭) বনাম বার্সেলোনা (৬); ২০২৫

তবে সেবারে ফাইনালে লিভারপুল পেয়েছিল হারের স্বাদ। কিয়েভে গ্যারেথ বেলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করে ইংলিশ প্রতিপক্ষকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা তোলে রিয়াল মাদ্রিদ। ১৩ গোলের থ্রিলার পার করে এবার ফাইনালে গিয়েছে ইন্টার। লিভারপুলের মতো একই ভাগ্য কি বরণ করবে ইন্টারও?

এর উত্তর পেতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে ১ জুনের ফাইনাল পর্যন্ত। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হতে পারে আর্সেনাল কিংবা পিএসজি। অতীত বলছে, বায়ার্নের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফাইনাল হলেই নতুন কোনো চ্যাম্পিয়নের দেখা মেলে। দুই দিক থেকেই ইতিহাস যেন ইন্টারেরই বিপক্ষে। তবে এমন দাপুটে পারফরম্যান্সের পর কেবল অতীত দিয়েই ইন্টার মিলানকে যাচাই করাটাই হয়ত দুঃসাহস।

পড়ুন : হ্যারি কেইনের বায়ার্ন মিউনিখই চ্যাম্পিয়ন বুন্দেসলিগায়

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন