ছুটির দিন ও একুশের আমেজে জমজমাট বইমেলা। সকালে মেলা প্রাঙ্গণ খুলে দেয়া হলেও সময়ের সাথে সাথে পাঠক,ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড়। বেচা-বিক্রিতে খুশী বিক্রেতারা। তরুণ প্রজন্মকে ইতিহাস, ঐতিহ্য জানাতে বইয়ের বিকল্প নেই বলছেন লেখকরা।
ছুটির দিন মানেই বইমেলায় কচি কাঁচাদের সরব উপস্থিতি। সকাল ১১টায় মেলার দুয়োর খুললে শিশুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে বই মেলার শিশু প্রহর।

গোয়েন্দা সিরিজ কিংবা সাইন্স ফিকশন সহ নানান বইয়ের আবদার নিয়ে বাবা মায়ের সাথে মেলা প্রাঙ্গণে খুদে পাঠকরা। প্রত্যাশা- প্রাপ্তির সংমিশ্রনে খুশী তারা।
সন্তান কে নতুন নতুন বইয়ের সাথে পরিচয় করানোর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ ও একুশের চেতনা সন্তানদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার কথা জানান অভিভাবকরা।
শুধু শিশু কিশোর নয় বসনে ভূষণে একুশের আমেজ ধরে রেখে মেলা প্রাঙ্গনে সব বয়সী পাঠকের আনাগোনাও ছিল চোখ পড়ার মতো। বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে কেউ যেমন মজেছেন রবীন্দ্রনাথ কিংবা নজরুলের লেখনীতে কেউ আবার কিনছেন শরৎচন্দ্র, বঙ্কিম না হয় হুমায়ুনে রচনাসমূহ।

মেধা ও মনের বিকাশে বই ও বই মেলার গুরুত্ব অপরিসীম জানিয়ে, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান লেখকদের।
গতকাল পর্যন্ত প্রায় দু-হাজার বই প্রকাশিত হয়েছে। মহান শহীদ দিবসে প্রকাশিত হয়েছে শতাধিক বই।
এনএ/

