চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ না পেয়ে ইমামের ছেলে কে পিটিয়েছে চরবাগডাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর আলী।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মাগরিবের নামাজের পর সদর উপজেলার চরবাগডাঙা ইউনিয়নের গিধনি পাড়া ওয়াক্তিয়া মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তি হলেন একই এলাকার সোলেমান বিশ্বাসের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৬২)। তিনি বর্তমানে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে এ ঘটনার পরপরই চরবাগডাঙা এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মতিউর রহমান।
রুহুল আমিন বলেন, বৃদ্ধ বাবা অনুপস্থিত থাকায় আমি মাগরিবের আজান দিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে মুসল্লিদের অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়ানো শুরু করি। নামাজে বিলম্বে মসজিদে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা ওমর আলী। এসেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন। নামাজ শেষে এক পর্যায়ে আমার উপর হাসুয়া নিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করে।
রুহুল আমিনের ভাই ইমদাদুল হক বলেন, ইফতার শেষে মসজিদের অন্য মুসল্লিদের অনুমতি নিয়েই নামাজ শুরু করা হয়।এরপরেও ওমর আলী তার ভাইদের নিয়ে হামলা চালায়। এতে তার ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। ইমদাদুল হক আরও বলেন, এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ওমর আলী বলেন, ইফতার করে মসজিদে গিয়ে আমি নামাজ পায়নি। এ জন্য নির্ধারিত সময়ের আগে কেন নামাজ শুরু হলো জানতে চেয়েছি। এটা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মতিউর রহমান বলেন, এক মিনিট আগে মাগরিবের নামাজ শুরু করায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওমর আলী এক রাকাত নামাজ পাননি। এ জন্য তিনি ঈমামের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা করেন। এ সময় ঈমামের ছেলের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এনএ/