জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে দাবি তিনটি হলো, মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস মোতাবেক শিক্ষার্থীদের জন্য ৭০% আবাসন ভাতা প্রদান বাস্তবায়ন করা, ফ্যাসিস্ট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও আওয়ামী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা এবং দ্রুত জকসুর নীতিমালা প্রনয়নসহ সকল কর্যক্রম শেষ করা।
এসময় নেতাকর্মীরা বলেন, কতগুলো ছাত্র সংগঠন আমাদের মতো আন্দোলন করছে। কিন্তু তারা উপাচার্য ও প্রশাসনের লোকদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। আন্দোলনের গনতান্ত্রিক রূপ আছে,আমরা তাদেরকে বলবো গনতান্ত্রিক উপায়ে প্রশাসনকে চাপ দিয়ে দাবি আদায় করতে। তারা আরও বলেন, কিছু আন্দোলনকারী শুধু জকসুকে টার্গেট করে আন্দোলন করছে। আবাসন ভাতা নিয়ে তারা কিন্তু সত্যিকার অর্থে কাজ করছে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জকসু নির্বাচনের বিপক্ষে নয়। কিন্তু যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে গনহত্যাকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা -কর্মচারী এখনো আছে,যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জকসুর নির্বাচনে ভোটার হবে ছাত্রলীগের হামলাকারীরা সেই নির্বাচন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে হতে পারেনা। আমরা দেখেছি কিছু কিছু লোক আবাসন ভাতার বিষয়টি পিছনে রেখে ভিন্ন উদ্দেশ্যে জকসু নির্বাচনকে সামনে আনতে চাচ্ছে। আমরা বলতে চাই, ছাত্রদল জকসু নির্বাচন চায়,তবে তার আগে আমাদের মধ্যবিত্ত যে শিক্ষার্থী খেতে পায়না, ঠিকভাবে তার খরচ চালাতে কষ্ট হয় তার জন্য আবাসন ভাতা নিশ্চিত হোক।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই জকসু প্রয়োজনে পরশুদিন আয়োজিত হোক। তবে তার আগে আগামীকাল ছাত্রলীগের বিচার নিশ্চিত করা হোক। শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ভাতা ও ছাত্রলীগের বিচারের মাধ্যমে জকসু নির্বাচনের জন্য আগামীতে আমরা আর কঠোর কর্মসূচি দিব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল বলেন, প্রশাসনের একটি অংশ চায়না শিক্ষার্থীরা আবাসন ভাতা পাক। কারণ যদি আবাসন ভাতা শিক্ষার্থীরা পায় তাহলে ছাত্রদল যে যমুনাতে আন্দোলন করেছে সেটি নাকি সফল হয়ে যাবে। আমরা তাদের হুশিয়ার করে বলতে চাই, ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ভাতার দাবিতে যে সময় বেঁধে দিয়েছে তার মধ্যে যদি কার্যকর করা না হয় তাহলে আমরাও তালা দিবো। আমাদের যদি তালা দিতে হয় তাহলে আপনাদের ভবন থেকে বের করে তালা দিব, যাতে মন্ত্রণালয়ে ঘুরে আপনারা দাবি মানিয়ে আনতে পারেন। আমরা জকসু দেওয়ার জন্য বিরোধিতা করছি না৷ কিন্তু তার আগে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো গণহত্যাকারী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচরণ করতে পারবে না। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, কুসুম কুসুম আন্দোলন দিয়ে আপনারা কাকে জনপ্রিয় করতে চান সেটা আমরা বুঝি। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কুসুম কুসুম আন্দোলন করবে না।
এসময় আরও বক্তব্য প্রদান করেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাফর আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক সুমন সরদার, মুস্তাফিজুর রহমান (রুমি), শাহরিয়ার আহমেদ, ,রবিউল আউয়াল, নাহিয়ান বিন অনিক,রাশেদ আমিন, সাখাওয়াত ইসলাম পরাগ, রাসেল মিয়া,সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
পড়ুন: মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মাদক উদ্ধার ও দুই বাংলাদেশি আটক
দেখুন: দলবল নিয়ে থানায় হামলা করলেন ইউপি চেয়ারম্যান |
ইম/

