১৪/০৬/২০২৫, ১৭:৩৪ অপরাহ্ণ
34.6 C
Dhaka
১৪/০৬/২০২৫, ১৭:৩৪ অপরাহ্ণ

জনগণের টাকায় খাল পুনঃখনন করলে নোংরা করবে না: রিজওয়ানা হাসান

পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খালের প্রাণপ্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে। জনগণের টাকায় সরকার শতকোটি টাকা ব্যয় করে এই খাল যখন পুনঃখনন করে দেবে, জনগণ যেন তখন এই খালটাকে আর নোংরা না করে।

সোমবার (১২ মে) সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে শুভাঢ্যা খাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় উপদেষ্টা খালের প্রাণপ্রবাহ ঠিক রাখতে এখানকার ওয়ার্ডভিত্তিক, মহল্লাভিত্তিক জনগণের একটা মনিটরিং মেকানিজম তৈরি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, এ খালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, এ খালের সঙ্গে দুটি বড় নদীর সংযোগ রয়েছে। একটা হচ্ছে বুড়িগঙ্গা, আরেকটা হচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদী।

সরকার তখনই আপনার জন্য কাজ করবে যখন আপনি নিজে সজাগ হবেন উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সরকার যতই কাজ করে দিক না কেন, সব গার্মেন্টসের মালিক যদি মনে করে যে, তারা তাদের সব ঝুট-কাপড় এখানে ফেলবে, পৌরসভা যদি মনে করে যে তার যত বর্জ্য আছে সে এখানে ফেলবে, তাহলে আর শতকোটি টাকার প্রকল্প দিয়েও কোনো কাজ হবে না।

তিনি বলেন, খালটা আমার দেখতে আসার কারণ হলো যে, এ খালটি পুনঃখননের জন্য যে প্রকল্প পাস করা হয়েছে, সে প্রকল্প কতটুকু যৌক্তিক। এটার যে ব্যয় ধরা হয়েছে সেটা কতটুকু যৌক্তিক, এটা দেখতে আসা। প্রকল্পের আওতায় ১৪.২৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ শুভাঢ্যা খাল পুনঃখনন ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখানে এসে যা দেখলাম, খালটাই আবার অনেক জায়গায় নতুন করে খনন করতে হবে। এখানে খালের প্রবাহ বলতে আসলে কিছু নেই এবং এখানে কেবল যে খাল খনন করতে হবে তা না, এখানে খালের পাড় বাঁধাইয়ের ব্যাপার আছে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপার আছে।

তিনি বলেন, খালের পাশে হাঁটার রাস্তা করে না দিলে এখানে আবারও খাল দখল হয়ে যেতে পারে। এখানে এসে যেটা শুনলাম, এখন যে কাজটা করা হচ্ছে খালের মাটি কাটার কাজ অর্থাৎ খননের কাজ এটা হচ্ছে সিটি জরিপ অনুযায়ী। প্রকল্পে আসলে আছে সিএস জরিপ অনুযায়ী। সিএস জরিপ অনুযায়ী খালটা অনেক বেশি প্রশস্ত। সেজন্য আমার উপলব্ধিটা নিজে বোঝার জন্য এখানে এসেছি।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এ খালটাতে পানির প্রবাহ ফেরত আনা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ। এখন তো খালের ওপর আমি শুধুমাত্র প্লাস্টিক আর ময়লা-আবর্জনা দেখে এলাম।

তিনি বলেন, এ প্রকল্প এই জুনে শুরু হয়ে আগামী জুন-জুলাইয়ে যখন শেষ হবে তখন অন্তত খালের অবয়বটা আপনারা দেখতে পাবেন।

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের উদ্যোগের কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা যদি ঢাকার খালগুলোর নিচটা গভীর করে দেই, ড্রেনগুলো পরিষ্কার করে দেই, তাহলে আশা করি এবার জলাবদ্ধতা অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হবে।

তিনি বলেন, যদি জলাবদ্ধতা কোনো জায়গায় হয়েও থাকে, সিটি কর্পোরেশনের লোকজন মাঠে থাকবে, ড্রেন পরিষ্কার করে বা দরকার হলে পাম্প করে নগরবাসীকে এবার জলবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেবে।

পড়ুন: বাংলাদেশকে বিপজ্জনক বর্জ্যের ভাগাড় হতে দেওয়া যাবে না: রিজওয়ানা হাসান

দেখুন: নগর উন্নয়নে আর কোন খারাপ দৃষ্টান্ত নয় 

এস

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন