জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এই ঘটনায় দুই সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পুলিশের অভিযানের চতুর্থ দিনে এই বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গলের গভীরে ঢুকে ভারি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়।
এদিকে, এই ঘটনায় আরও পাঁচ নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন ডেপুটি পুলিশ সুপারও রয়েছেন। তাদের সবাইকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা এখনো ওই এলাকায় লুকিয়ে আছে, এবং তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) হিরানগর সেক্টর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে জাখোল গ্রামে সন্ত্রাসী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলিবিনিময় শুরু হয়। বর্তমানে, সেখানকার পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, এবং উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি চলতে থাকলেও অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে অভিযান চালাচ্ছে বিশেষ বাহিনী এবং সেনাবাহিনী।
নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান চলছে। বিভিন্ন এলাকায় ইউএভি, ড্রোন এবং বুলেটপ্রুফ যানবাহন ব্যবহার করে অভিযান চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী দলকে খুঁজে বের করতে বিশেষ বাহিনী রিয়াসি জেলার বনাঞ্চলে অভিযান শুরু করেছে।
এছাড়া, গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিএসএফ, সিআরপিএফ এবং এনএসজি যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে, অঞ্চলটি থেকে দুটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে এবং একাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে যদি এই সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের অভিযানে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে, যাতে সন্ত্রাসীদের দমন করা সম্ভব হয়।

এদিকে, ঘটনাস্থলে আগত জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি নলিন প্রভাত ঘটনাটি তদারকি করছেন।
সামগ্রিকভাবে, জম্মু ও কাশ্মীরের এই অঞ্চলটি এখনো অস্থির রয়েছে, যেখানে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম প্রতিরোধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক হামলায় নিহত ৩
দেখুন: ‘আ.লীগ নেতা—কর্মীদের হাতে ৭ হাজারেরও বেশি বৈধ অস্ত্র’ |
ইম/