27.3 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বাতিলের সুপারিশ ট্রাম্প প্রশাসনের

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈশ্বিক কূটনৈতিক কার্যক্রমের বাজেট নজিরবিহীনভাবে অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে। এর পাশাপাশি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন সম্পূর্ণরূপে বাতিল করার সুপারিশ করেছে মার্কিন অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি)। খসড়া বাজেট প্রস্তাবনা থেকে এই তথ্য জানা গেছে, যা আগামী ১ অক্টোবর শুরু হওয়া অর্থবছরের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাবে জাতিসংঘ, এর বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থা, ন্যাটো এবং বৈদেশিক কূটনৈতিক মিশনের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৫০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব রয়েছে। একই সঙ্গে ফুলব্রাইটসহ শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির বাজেটও হ্রাসের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে স্টেট ডিপার্টমেন্টের বরাদ্দ ৫৪.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ২৮.৪ বিলিয়নে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বৈদেশিক সহায়তার বাজেট ৩৮.৩ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ১৬.৯ বিলিয়ন ডলারে নামানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ বাজেট অনুমোদিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা এবং কূটনৈতিক তৎপরতা বড় ধরনের ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

খসড়া প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি দূতাবাস এবং ১৭টি কনস্যুলেট বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। এতে ইরিত্রিয়া, লুক্সেমবার্গ, দক্ষিণ সুদান, মাল্টা, মালদ্বীপসহ আফ্রিকা ও ইউরোপের বেশ কিছু দেশের কূটনৈতিক মিশন বন্ধ হতে পারে। কানাডার মন্ট্রিল ও হ্যালিফ্যাক্সে কনস্যুলেট ছোট করে আনার কথাও বলা হয়েছে।

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন কমিয়ে দেওয়া বা বাতিল করা হলে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বড় প্রভাব পড়বে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সাধারণ বাজেটের ২২ শতাংশ এবং শান্তিরক্ষা বাজেটের ২৭ শতাংশ অর্থায়ন করে থাকে। এ অর্থ মালি, লেবানন, কঙ্গো, দক্ষিণ সুদান, পশ্চিম সাহারা, সাইপ্রাস, কসোভো, সিরিয়া, গোলান মালভূমি ও আবেই অঞ্চলের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।

মার্কিন ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ প্রস্তাবকে ‘বেপরোয়া ও বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেছে। রাশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাইকেল ম্যাকফল একে ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য উপহার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, বাজেট এখনো চূড়ান্ত হয়নি। জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারিকও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ জাতিসংঘের কার্যকারিতা ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে এমন সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টায় এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

পড়ুন: প্রতিদিন অন্তত ১০০ শিশু হতাহত হচ্ছে গাজায় : জাতিসংঘ

দেখুন: যুদ্ধের পথ ছেড়ে শান্তির জন্য কাজ করুন: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন