21 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২৪

জাতীয় পার্টির আজকের সমাবেশ স্থগিত

গতকাল শুক্রবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী। পরবর্তী কর্মসূচি দলটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আজকের (শনিবারের) পূর্বঘোষিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে জাতীয় পার্টি। 

এতে বলা হয়, শনিবার দুপুর ২টায় জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় পার্টির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত  করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ২৯ ধারার ক্ষমতা বলে (সভাস্থল) পাইওনিয়ার রোডস্থ ৬৬নং ভবন, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করায় জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও বলা হয়, পরবর্তী কর্মসূচি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আজ (শনিবার) সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আগের (আওয়ামী লীগ) সরকারের কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে আমরা জড়িত ছিলাম না,’ বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

গতকাল তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে শনিবারে সমাবেশ করব। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও দেশের ভালোর জন্য লড়াই করে যাবো।’

অন্যদিকে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা ও ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার অভিযোগে জাতীয় পার্টিকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টিকে শনিবারের সমাবেশ করতে দেওয়া মানে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার আরেকটি চক্রান্ত। এ কারণে জাতীয় পার্টিকে শনিবার সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।’

এ অবস্থায় আজ শনিবার কাকরাইলে সব ধরনের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানের সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারা অনুযায়ী এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ডিএমপি।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’র ব্যানারে এক দল বিক্ষোভকারী দলটির বিজয়নগরের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে দলটির কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।

এদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এবার শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে জাতীয় পার্টিও (জাপা) সেভাবে পালাবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে প্রায় একই সময়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তারা এমন মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন