জাতীয় স্বার্থে সকলে ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যে সফল করা সম্ভব হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২৪ গণঅভ্যুত্থান শহীদ ও আহতদের পরিবারের উদ্যোগে আহতের সুচিকিসার ও রাষ্ট্রীয় পূর্নবাসনের দাবিতে প্রতীক অনশন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আহতদের সুচিকিৎসা এবং তাদের পূর্নবাসনের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আরো দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানান মান্না। তিন ঘন্টা ধরে চলা প্রতীক অনশনের পর প্রধান অতিথি মাহমুদুর রহমান মান্না আহতদের পানি পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।
আহ্বায়ক রেজাউল কবির রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনেরউপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, মহানগর দক্ষিন বিএনপির অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা, মুক্তিযোদ্ধা দলের মিয়া মো. আনোয়ার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন , আমি দুইটি অভ্যুত্থানের উদাহরন দেবো। বিশাল অভ্যুত্থানহয়েছে মিশরে কিন্তু সেখানে দলগুলো দলাদলি করতে করতে গিয়ে সেখানে গণতন্ত্র চলে গেছে সেখানে সমৃদ্ধির সম্ভাবনা চলে গেছে। আর তার পাশে আছে তিউনেশিয়া… সেটা আরও দরিদ্র দেশছিলো। কিন্তু তারপরেও সেই দেশে যত মারামারি-কাটাকাটি-দলাদলি থাকনা কেনো সবাই উপলব্ধিকরেছে যে, আমরা যদি একসাথে কাজ না করি তাহলে দেশ গড়ে উঠবে না। তারা সেই একত্রিত হবারজন্যে ঐক্য গড়ে তুলবার জন্যে সংগ্রাম করেছে… তিউনিশিয়া সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।”‘‘ আমি বিশ্বাস করি, আমরা আজকের বাংলাদেশও সামনের দিকে এগুবো, আমরাও আমাদের যেলক্ষ্য আছে সেই লক্ষ্যে সবাই পৌঁছাতে পারব যদি আমরা সকলে ঐক্যদ্ধ থাকি দেশ ও জাতিরস্বার্থে।
”মান্না বলেন, ‘‘ প্রত্যেকে বিশ্বাস করে এদেশে বদলে দেয়া সম্ভবএবং দেশ গড়া এখন থেকে চলবে। হতে পারে মাঝে মাঝে আপনারা দেখবেন বৈষম্য, মাঝে মাঝে আপনারা দেখবেন বৈরীতা, মাঝে মধ্যে দেখবেন দলে দলে বিভক্তি।‘‘ তারপরেও শেষ বিচারে আমরা একটা জায়গায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাইসেটা হচ্ছে দেশের স্বার্থ, জাতীয় স্বার্থ, সেটা অর্থনৈতিক স্বার্থে হোক, গণতন্ত্রেরজন্য হোক, স্বাধীনতার প্রশ্নের সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
তিনি বলেন, ‘‘ আমরা এমন দেশ চাই যেখানে সরকার জনগনের দুঃখে সরকার যে পাশে দাঁড়াবে। সেই রকম দেশগড়বার জন্যে আমরা বলছি… একবারে হবে তা নয় কিন্তু ধারাবাহিকভাবে লড়াই করতে হবে দেশটা বদলে দেবার জন্যে।
মান্না বলেন, বাংলাদেশ সারা পৃথিবীর মধ্যে সেরকম একটা দেশে পরিণত হবে যে দেশের কথা অন্যান্য জায়গা বলবে।‘‘ আমরা যখন কেরালার কথা বলি যদিও এটি দেশ নয়, একটা রাজ্য। কিন্তু ভুটান একটা দেশ তার কথা বলি। ভুটানে মিনিস্ট্রি অব হেপিনেজ আছে সুখের মন্ত্রণালয়… তারা জনগনের সুখ কিভাবে সৃষ্টি হয় বা সৃষ্টি করা যায় সেই কাজ করে। আমরাও বাংলাদেশে ওরকম একটা শান্তির সুখের প্রশান্তির দেশ গড়তে চাই।
পড়ুন:ডিসেম্বর ধরেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: ইসি সানাউল্লাহ
দেখুন:কেন জাতীয় সঙ্গীত গাইলো না ইরানের ফুটবলাররা? |
ইম/