১৪/০৬/২০২৫, ১৬:১২ অপরাহ্ণ
34.6 C
Dhaka
১৪/০৬/২০২৫, ১৬:১২ অপরাহ্ণ

জাহাঙ্গীর কবির নানক, তার স্ত্রী ও ছেলেসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় ঢাকা-১৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, তার স্ত্রী সৈয়দা আরজুমান বানু ও ছেলে এস আমরীন রাখীসহ ১১ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৪ মে) দুদকের পৃথক চারটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে অনুসন্ধানী কর্মকর্তারা নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, তার ছেলে ও ব্যাংকটির পরিচালক কাজী খুররম আহমদ, মশিউর সিকিউরিটিজ সিটি সেন্টারের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, পরিচালক মোগল জান রহমান ও জিয়াউল হাসান চিশতী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আবুল কাসেম কাসু, তার স্ত্রী আসমা কাসেম ও মেয়ে উম্মে কুলসুম।

আবেদনে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানে বর্তমানে তিন সদস্য বিশিষ্ট টিম গঠন হয়েছে। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, কাজী আকরাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া সার্টিফিকেটের মাধ্যমে নিকট আত্মীয়দের চাকুরী প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণ প্রদানসহ অন্যান্য উপায়ে ব্যাংকটির হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন সদস্যর অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সেজন্য, অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

পড়ুন : পাপন, নানক, বিপ্লব বড়ুয়ার সব ব্যাংক হিসাব জব্দ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন