সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর বলছে, এ নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বক্তব্য রাখেন মঙ্গলবার। এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে নেওয়া দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপের প্রতি সমর্থনের কথাও জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরটির মুখপাত্র।
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত হয়েছে বলে মনে করে পেন্টাগন।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি, তা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, এবং বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার প্রতি পেন্টাগনের সমর্থন রয়েছে।
দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর গত ২০ মে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর পেন্টাগন কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীদারত্ব অব্যাহত রখেছে? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় দপ্তরটির মুখপাত্রের।
আজিজ আহমেদ তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তোলা অভিযোগ অসত্য দাবি করেছেন। আর এমন নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তিগত দায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।