27.3 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

ঝুঁকি নিয়ে মধ্যরাতেও বাস, খোলা ট্রাক-পিকআপে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

পবিত্র ঈদুল ফিতরে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাতেই বাস, পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। ঈদযাত্রার ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বাড়লেও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। রাতেই যানবাহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষ।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে এমন দৃশ্য দেখা যায়। রাতেই খোলা ট্রাক-পিকআপে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা। গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকেই রাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক-পিকআপ ও বাসের ছাদে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।

ঢাকা থেকে আসা পোশাক শ্রমিক সাজেদুল ইসলাম বলেন, রাতে বাড়ি যাচ্ছি। আমি রংপুরে যাব। বছরে আমাদের দুইটা উৎসব। বাসে যাচ্ছি বাড়তি ভাড়া দিয়ে। এখন ভালো মতো যেতে পারলেই ভালো।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাঝরাতেও ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। সড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়লেও যানজট না থাকায় ঈদ উদযাপনে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে মানুষজন।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রিদওয়ানুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, অন্যান্য বছর এমন সময়ে ঢাকা থেকে ফেনী পর্যন্ত পৌঁছাতে দ্বিগুণ সময় লাগলেও আজ একদম ভিন্ন চিত্র। সড়কে কিছুটা গাড়ির চাপ থাকলেও যানজট ছিল না। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্যই মধ্যরাতে বাড়ি ফিরছি।

অন্যদিকে ফেনী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোও ফাঁকা দেখা গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রফিক নামের এক কর্মচারী বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যাত্রীর চাপ ছিল। রাতে যাত্রী না থাকায় আমরাও অলস সময় পার করছি।

পড়ুন : ঈদ যাত্রায় চন্দ্রা মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ভোগান্তিতে মানুষ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন