আমাদের এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। এখান থেকেও অভিজ্ঞতা নেয়ার আছে। একের পর এক সিরিজ যায়, সিরিজ শেষে টাইগারদের মুখে এমন বুলিও নিয়মিতই শোনা যায়। এবারও একই সুর ক্রিকেটারদের কন্ঠে।
ভারতের দাপটে টি২০ ও টেস্ট মিলে পাঁচ ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে শান্তরা। ষোলো আনাই ব্যর্থ সিরিজে অর্জনের খাতাটা খুললেও হয়তো কিছু পাওয়া যাবে। তবে সেখানে ভারতীয় প্লেয়ারদের থেকে দুটি ব্যাট উপহার এবং সিরিজ থেকে পাওয়া শিক্ষা ছাড়া কিছুই থাকার কথা নয়।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করো। টি২০ তে টাইগাররা সেই প্রবাদ যেনো মনে প্রানে ধারন করে নিয়েছে। আঠারো বছর হলো টাইগাররা এই ফরম্যাটটা খেলছে। কিন্তু এখনো শিখছেন। বিশ্ব ক্রিকেট যখন টি২০ ছেড়ে ১০ ওভারি টি-টেন যুগে পা দিচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ এখনো সেই পুরোনো স্টাইলেই টি২০ খেলে যাচ্ছে।
ক্রিকেটাররা এর কারন হিসেবে দেশে খেলা স্লো উইকেটের পিচকেই দাবি করেন। ভারত সিরিজেই শান্ত দাবি করেছিলেন দেশে আমরা ১৪০-১৫০ রানের পিচে খেলে থাকি। সিরিজ শেষে প্রেস কনফারেমসে তাউহিদ হৃদয়ও ওই একই কথার পুনরাবৃত্তি করে গেলেন।
শুধু পিচই নয়, পুরো সিরিজে টপ অর্ডারদের ব্যাটিং ছিলো দৃষ্টিকটু। তাউহিদ হৃদয় তাইতো টপ অর্ডার ব্যাটারদের দ্বায়ী করলেন। বললেন, টি২০ তে বড় স্কোর করতে টপ অর্ডারদের নিতে হবে বাড়তি দ্বায়িত্ব।
টি২০ চার, ছক্কার খেলা। কম বলে বেশি রান করাটাই এখানে ক্রিকেটারদের ধর্ম। ক্রিকেটাররা তাদের পাওয়া শিক্ষা থেকে নিজেদের ঠিকঠাক পরিবর্তন করতে পারলেই হয়তো পরিবর্ত্ন হবে টি২০ তে বাংলাদেশের চিত্র।