টানা ৫ কার্যদিবস ধরে পতনে রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ২৬.৫৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে। এছাড়া দৈনিক লেনদেন নেমে এসেছে সাড়ে তিনশো কোটির নিচে। এছাড়া বাজার মূলধনেও রয়েছে নেতিবাচক প্রভাব।
এদিকে সম্প্রতি আবারও শেয়ারবাজারে শুরু হয়েছে জরিমানা ও তদন্ত আতঙ্ক। তালিকাভুক্ত কোম্পানি এশিয়া ইন্স্যুরেন্স ও ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার কারসাজির দায়ে বিপুল পরিমাণ জরিমানা করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল খায়ের হিরু, তার স্ত্রী ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ডিআইটি কো-অপারেটিভকে মোট ১৯ কোটি টাকা জরিমানা

এছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার কারসাজি করায় ৫৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে বন্ধ কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় সেগুলোর তদন্ত করার জন্যও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
জানা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশকিছু কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ, অথচ শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এর পেছনে কারসাজি রয়েছে কিনা তা তদন্তের জন্য মাঠে নেমেছে বিএসইসি।
বিএসইসির সার্ভিল্যান্স বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নানু ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু তালিকাভুক্ত কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে কিন্তু সম্প্রতি সেইসব সিকিউরিটিজের লেনদেনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লেনদেন দেখা যাচ্ছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ( বোর্ড ও প্রশাসন) প্রবিধান, ২০১৩ এর ১৬(৩)(সি)(ii) প্রবিধান অনুসারে, ডিএসই ট্রেডিং নিয়ম এবং শৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা লঙ্ঘন তদন্ত করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
অতএব, ডিএসইকে এই চিঠি জারির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সন্দেহজনক লেনদেন বা সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন সনাক্ত করার জন্য তদন্ত করতে এবং সেইসব সিকিউরিটিজের লেনদেনে যেকোনো পর্যবেক্ষণ/অনুসন্ধান সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বিনিয়োগকারী শাহাদাত হোসেন ও তার ১৪ সহযোগীকে ৫৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কোম্পানির শেয়ার কারসাজিতে জড়িতরা ২০টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব ব্যবহার করে অনৈতিকভাবে সিরিজ ট্রানজেকশন করেছেন।