বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা এবং সরকারি কর্মকর্তাসহ মোট ১৬ জন আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও জুনায়েদ আহমেদ পলক, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজকের শুনানির দিন ধার্য করে। ওই দিন গণহত্যা মামলার তদন্ত অগ্রগতির প্রতিবেদন দাখিলের ভিত্তিতে চিফ প্রসিকিউটরের সময় আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। এই বিষয়ে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ। তবে আসামিদের কখন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে, তা তখনো তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
এরও আগে গত ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল প্রথমবারের মতো এ মামলার আসামিদের হাজির করতে ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিল। সে অনুসারে সেদিন ১৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে তোলা হয় এবং পরবর্তী শুনানির জন্য সময় চাওয়া হয়।
গত ১৮ নভেম্বর ১৬ আসামির মধ্যে ১৩ জনকে (যার মধ্যে ৯ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী) প্রথমবার আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং অভিযোগের প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য প্রসিকিউশনকে এক মাস সময় দেন।
পড়ুন: আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
দেখুন: ট্রাইব্যুনালে যা বললেন, যা করলেন পলক,আনিসুল,দীপু মনিরা |
ইম/