আন্তর্জাতিক অপারাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে অব্যাহিত দেওয়ার আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার আদেশ আগামী বুধবার।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারী) চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ সোমবার আদালতে একটি আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মূলত আসামি জিয়াউল আহসানের পক্ষে তার আইনজীবী এই ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রমকে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন। সেই পিটেশনের মূল দাবি ও বক্তব্য ছিল- এই ট্রাইব্যুনালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা নাই। কারণ বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধ হয়নি। যে কারণেই বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়নি।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত তারা আরেকটি গ্রাউন্ড নিয়েছিলেন। সেটি হচ্ছে এই ট্রাইব্যুনালে যে অধ্যাদেশ উল্লেখ করা হয়েছে সেটি যে সরকার করেছিল তার বৈধতা নেই। একই সঙ্গে এ ধরনের কার্যক্রম করতে বর্তমান সরকারের বৈধতা নেই বলেও উল্লেখ করেন তারা। এ কয়েকটি গ্রাউন্ডে তারা দাবি জানিয়েছিলেন যে, আসামিকে যেন অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আমরা এর বিপক্ষে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। আমরা বলেছি তারা যেসব কথা বলেছেন ট্রাইব্যুনালের সেটি বিবেচনার বিষয় নয়। যদি তাদের এমন কিছু মনে হয় তবে সেটি চ্যালেঞ্জ করার জন্য সাংবিধানিক আদালত যেতে পারেন। তা না করে একটি ফৌজদারি আদালতে তারা আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন। যেটি অকল্পনীয়।

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, যে কোর্টে বিচার হচ্ছে সেটি ফৌজদারি কোর্ট। এই কোর্টেই তারা কোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন করেছেন। যা নিয়মের মধ্যে পড়ে না। এর জন্য সাংবিধানিক আদালত প্রয়োজন। আমরা এগুলো তুলে ধরেছি। একই সঙ্গে তাদের এমন অসাড় বক্তব্যের কারণে জরিমানা করার আবেদন করা হয়েছে।
এনএ/