তৃতীয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্যে ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দরে কোনো প্রভাব ফেলেনি। কারণ এই রেলবন্দরটি শুধুমাত্র ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নেপাল বা ভুটানের সঙ্গে এই বন্দরের কোনো বাণিজ্যিক সংযোগ নেই।

এ প্রসঙ্গে দর্শনা রেলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু বলেন, “আমাদের বন্দরের মাধ্যমে শুধুমাত্র ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। নেপাল বা ভুটানের সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্য নেই। ফলে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের প্রভাব এখানে নেই।”
তিনি আরও বলেন, “তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে বন্দরের কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতির হয়েছে। পণ্য পরিবহন চলছে ঠিকই, কিন্তু আগের মতো গতিশীলতা নেই। ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় আছেন।”
দর্শনার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এ রেলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন সময় ও খরচের দিক থেকে সুবিধাজনক। কিন্তু আগস্টের পর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে কিছুটা অনিয়ম দেখা যাচ্ছে, যা ব্যবসার ওপর প্রভাব ফেলছে।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক বলেন, “ভারতের সুবিধা বাতিলের কারণে দর্শনা রেলবন্দরে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ এই বন্দর কেবল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।”
পড়ুন: বাতিলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে তেমন প্রভাব ফেলবে না : মালদ্বীপের হাইকমিশনার
দেখুন: বাংলাদেশের সুবিধা বাতিল করল ভারত
ইম/