ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে কিছু মামলার নিষ্পত্তি হতে পারে। সিবিএস নিউজের তথ্যমতে, ট্রাম্পের আইনজীবী দল এবং মামলা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে কিছু মামলা বন্ধের প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
২০২০ সালের নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে জর্জিয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তিনি আবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলে এই মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকতে পারে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ায় হয়তো আবার মামলাটির কার্যক্রম চালু হবে।
২০২০ সালের নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের প্রচেষ্টায় যুক্ত থাকা নিয়ে বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে এই মামলাটি বর্তমানে কিছুটা ঝুলে রয়েছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে এটি কার্যত বন্ধই হয়ে যেতে পারে। এছাড়া, ট্রাম্পও এরই মধ্যে স্মিথকে বরখাস্ত করার অঙ্গীকার করেছেন। তাই মামলাটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই অনেক বেশি।
গত মে মাসে নিউইয়র্কে ব্যবসায়িক নথি জালিয়াতির অভিযোগে ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে একজন পর্নো তারকাকে ঘুস প্রদানের সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আগামী ২৬ নভেম্বর এই মামলায় ট্রাম্পের দণ্ড ঘোষণার দিন নির্ধারিত রয়েছে। তবে বয়স ও প্রথমবারের অপরাধ হিসেবে তাকে কারাগারে পাঠানোর আশঙ্কা কম বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
বিবিসি জানায়, হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর নিজের মার-এ-লাগো রিসোর্টে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি সংরক্ষণ করা এবং সেগুলো উদ্ধারে বিচার বিভাগের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই অভিযোগগুলো গত জুলাইয়ে খারিজ করেন ট্রাম্প নিযুক্ত বিচারক এলিন ক্যানন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবার শপথ গ্রহণের পর এই মামলাটিও বন্ধ হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
বিবিসি আরও জানায়, নব্বইয়ের দশকে কথিত ধর্ষণের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন লেখক ই. জিন ক্যারল। তার বয়স এখন ৭৮ বছর। বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়া ‘অ্যাডাল্ট সারভাইভার্স অ্যাক্ট’ নামে নতুন একটি আইনের আওতায় নিউ ইয়র্কে এই মামলাটি দায়ের করেন। এ আইনে তিনিই প্রথম কোন মামলা করলেন।
ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের অনেক মামলার নিষ্পত্তি হতে পারে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে তাকে দায়মুক্তির বাইরে রাখার ব্যবস্থা কার্যকর হলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ আসলেই কতটা স্বাধীন, সার্বোভৌম আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রভাবমুক্ত।
আরও পড়ুন ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন ট্রুডো