মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ভয়েস অব আমেরিকা (VOA) সহ সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত একাধিক গণমাধ্যমের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এসব গণমাধ্যমের কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, যার ফলে সম্প্রচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেছে।
ফেডারেল এজেন্সির অধীনস্থ গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ভয়েস অব আমেরিকা, রেডিও ফ্রি এশিয়া এবং রেডিও ফ্রি ইউরোপের কর্মীরা ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, তাদের কার্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি নেই এবং অফিসের উপকরণ ফেরত দিতে হবে। ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক মাইকেল আব্রামোউইৎজ জানিয়েছেন যে, এক হাজার ৩০০ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, এবং তিনি নিজেও এর মধ্যে রয়েছেন।

ট্রাম্পের প্রশাসন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থার তহবিল বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা কারি লেইক বলেন, এসব গণমাধ্যম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আর তহবিল পাবে না। এর ফলে, করদাতাদের আর ‘উগ্র প্রোপাগান্ডা’র জন্য অর্থ ব্যয় করতে হবে না, এমন মন্তব্য করা হয়েছে।
এদিকে, রেডিও ফ্রি ইউরোপের প্রধান স্টিফেন কেইপাস এই সিদ্ধান্তকে ‘আমেরিকার শত্রুদের জন্য বিশাল উপহার’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বিপর্যয়ের সৃষ্টি করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা খুবই কঠিন হবে। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, বাজেট অনুমোদনের চূড়ান্ত ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে থাকে, তাই প্রেসিডেন্টের একক সিদ্ধান্তে এটি কার্যকর করা সম্ভব নয়। অতীতে, রেডিও ফ্রি এশিয়া এবং অন্যান্য গণমাধ্যম ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের সমর্থন পেয়েছে, যা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
এই ঘটনা ট্রাম্প প্রশাসনের আরেকটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। জনমতের ওপর এর প্রভাব এবং কংগ্রেসের সহমত পেতে ট্রাম্পের প্রশাসনকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।
পড়ুন: ইউরোপীয় মদের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
দেখুন: ট্রাম্পের কঠিন ফাঁদে ইরান!
ইম/