বুকভরা স্বপ্ন আর ব্যাগভর্তি উপহার নিয়ে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটানোর আনন্দে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। ট্রেন, বাস, কিংবা লঞ্চ, সব পথেই ছুটছে প্রিয়জনদের কাছে ফেরার স্রোত। তবে এবারের ঈদযাত্রায় ট্রেনে তুলনামূলক স্বস্তি থাকলেও, বাস ভাড়ায় বেড়েছে দুর্ভোগ।
কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদযাত্রা তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক। নির্ধারিত সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই দীর্ঘ অপেক্ষা কিংবা ঠেলাঠেলি। স্টেশনে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করায় যাত্রীরা পাচ্ছেন স্বস্তির অনুভূতি।
তবে চিত্রটা ভিন্ন বাস টার্মিনালগুলোতে। সায়দাবাদ, গাবতলী কিংবা মহাখালী, প্রতিটি বাস টার্মিনালেই যাত্রীদের সারি। কারো চোখেমুখে বাড়ি ফেরার আনন্দ, কারও না ফিরতে পারার আক্ষেপ।
এদিকে নামিদামি বাস কোম্পানির টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে আগেই। যারা শেষ মুহূর্তে টিকিট খুঁজছেন, তাদের গুনতে হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকা বাড়তি ভাড়া।
বাস কাউন্টার মাস্টারদের দাবি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন না তারা, বরং কিছু রুটে কম ভাড়াতেই পরিবহন করছেন যাত্রী।
সরকারি চাকরিজীবীদের টানা ৯ দিনের ছুটি থাকায় এবারের ঈদযাত্রা হচ্ছে ধাপে ধাপে। ফলে প্রথম দিকের চাপ কিছুটা কম হলেও, শেষ মুহূর্তে যাত্রীসংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এনএ/