সংরক্ষণ করতে না পারায় কৃষকের উৎপাদিত পচন ধরা আলু বস্তায় বস্তায় পুকুরে-ডোবায় ও পাকা সড়কের দুই পাশে ফেলে দিচ্ছেন আলুচাষিরা।
এতে লোকসানের কারণে ঋণের পাল্লা ভারী হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা। এ অবস্থায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পরামর্শ না পাওয়ার অভিযোগ তাদের।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সংরক্ষণ করতে না পারায় কৃষকের উৎপাদিত পচন ধরা আলু বর্তমানে বস্তায় বস্তায় ফেলে দিচ্ছেন ময়লার ভাগাড়ে। এতে উৎপাদন খরচ না উঠাতে পেরে লোকসানের কারণে ঋণের পাল্লা ভারী হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি আলু উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকরা। তেমনি এবার এ জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদনের শুরুর দিকে কৃষকরা কিছু আলু বিক্রি করতে পারলেও হিমাগারে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সংরক্ষণ নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, মৌসুমে ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এর বিপরীতে সাড়ে ৮ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে। আর জেলায় হিমাগারের সংখ্যা ১৭টি। এসব হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা দেড় লাখ মেট্রিক টন।
কৃষকদের অভিযোগ কৃষি বিভাগ কোন উদ্যোগ নেয়নি সংরক্ষণে। তাই উপায় না পেয়ে কৃষকরা এখন দিশেহারা।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম, সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে কৃষকের পাশে রয়েছেন তারা।
পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ করেই একের পর এক অসুস্থ হচ্ছে হাফেজিয়া মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রীরা
দেখুন: ধ্বং*স প্রায় ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী দুটি রাজবাড়ী
এস